ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
মহিষলুটি মাছের আড়তে কর্মসংস্থান ৩ হাজার শ্রমিকের
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ
প্রকাশ: Thursday, 11 September, 2025, 12:04 PM

মহিষলুটি মাছের আড়তে কর্মসংস্থান ৩ হাজার শ্রমিকের

মহিষলুটি মাছের আড়তে কর্মসংস্থান ৩ হাজার শ্রমিকের

কাকডাকা ভোরেই কুলি, শ্রমিক ও ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে ওঠে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মহিষলুটি মাছের আড়ত। চলনবিল এলাকার আটটি উপজেলার মাছ মহিষলুটি আড়ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। প্রসিদ্ধ এ আড়তে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত তিন হাজার শ্রমিকের। একই সঙ্গে বার্ষিক প্রায় ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন স্থানীয় অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখছে এ মাছের আড়তটি। চলনবিলের বৃহত্তম এ মৎস্য আড়তের পাশে সরকারিভাবে একটি হিমাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। 

হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের পাশেই প্রায় ৫০ শতক জমিতে গড়ে উঠেছে মহিষলুটি আড়ত। এখানে মাছ কেনাবেচার জন্য সরকারিভাবে চারটি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। মাছ প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতে গড়ে উঠেছে ছয়টি  বরফকল।

সড়কপথে ভালো যোগাযোগ থাকায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, সিংড়ার মৎস্য ব্যবসায়ীর মহিষলুটিতে মাছ কেনাবেচা করেন। আড়তটি প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কর্মব্যস্ত থাকে। 

আড়তদার মিঠু জানান, ট্যাংরা, গুলশা, শিং, মাগুর, শোল, কই, সরপুঁটি, চাঁন্দা, খলিশা, ইছা, বোয়াল, গজার, বাইম, মেনি, পাতাসিসহ চলনবিলের সব মাছই মেলে মহিষলুটি আড়তে। এ ছাড়া রুই-কাতো, তেলাপিয়া, পাঙাশ, মৃগেল, পাবদাসহ বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া স্বাদু পানির সব ধরনের মাছ এখানে মেলে। ঢাকাসহ বড় বড় শহরের মানুষের ‍চাহিদা মেটাতে অসংখ্য পাইকার প্রতিদিন এখান থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ কিনে সারাদেশে সরবরাহ করেন। 

আড়তটি পরিচালনাকারী একতা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আজম আলী জানান, মহিষলুটি মৎস্য আড়তে বছরে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। এ আড়তকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। 

একতা মৎস্য সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. জলিল আলীর ভাষ্য, চলনবিল অঞ্চলের বৃহত্তম এ আড়তের কলেবর দিন দিন বাড়ছে। এখানে সরকারিভাবে একটি মৎস্য হিমাগার নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, মহিষলুটি মাছের আড়তে একটি মৎস্য হিমাগার স্থাপনে প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলবেন। 

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম শনিবার সমকালকে জানান, মহিষলুটি মাছের আড়তটির স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। এ আড়তের সার্বিক সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবেন তিনি। 

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status