|
ক্লাউড সিডিং করে বৃষ্টি ঝরানো গেলো না দিল্লিতে
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ক্লাউড সিডিং করে বৃষ্টি ঝরানো গেলো না দিল্লিতে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী পরিবেশ মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা এবং যে বিজ্ঞানীরা এই পরীক্ষা চালিয়েছিলেন তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ক্লাউড সিডিং-এ মেঘের ভেতরে রাসায়নিক ছড়িয়ে দিয়ে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়। বৃষ্টিপাত ঘটানো হলে বাতাসে ভাসমান দূষিত ধূলিকণা মাটির দিকে নেমে আসে, ফলে দূষণও কমে আসে। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা জানিয়েছেন, কানপুরের আইআইটির বিশেষজ্ঞরা এদিন বিমান থেকে তিনবার ক্লাউড সিডিং করেছেন। দিল্লির সীমান্ত অঞ্চল বুরারি থেকে শুরু করে পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহার পর্যন্ত তিনটি পৃথক এলাকায় ক্লাউড সিডিং করা হয়েছে। ক্লাউড সিডিং- দিল্লির বিজেপি সরকারের খরচ হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ রুপি। কানপুর আইআইটি বলছে, বৃষ্টি হয়তো হয়নি, কিন্তু অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ক্লাউড সিডিং, যা কিনা কৃত্রিম বৃষ্টির প্রক্রিয়া, তা শেষ হওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি হবে। কখনো কখনো ২ ঘণ্টা পরও হতে পারে। তবে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতির জন্য বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ২০ শতাংশের বেশি থাকা দরকার। তবে সারা দিন প্রতীক্ষার পরও বৃষ্টির দেখা কেন মিলল না, তার ব্যাখ্যায় কানপুর আইআইটির পরিচালক মনীন্দ্র আগরওয়াল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, গতকাল দিল্লির বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ খুবই সামান্য, তাই বৃষ্টি হয়নি। চীন পৃথিবীর প্রথম দেশ, যেখানে ক্লাউড সিডিং সফল হয়েছে। বেইজিংসহ শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে তারা এই পদ্ধতিতে বৃষ্টি ঘটাচ্ছে। চীন ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবেও এই পদ্ধতিতে বৃষ্টি ঝরানো হয়েছে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
