|
সোনারগাঁওয়ে আলোচিত সায়মা হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() সোনারগাঁওয়ে আলোচিত সায়মা হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ গতকাল সকাল ১১টার দিকে সোনারগাঁও সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়মা আক্তার মীমের হত্যাকারি স্বামী রায়হান গংদের ফাঁসির দাবিতে কলেজ থেকে একাধিক ব্যানার ও ফেষ্টুন নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। জানা গেছে, পরিবারের অমতে প্রায় দুই বছর আগে ভালোবেসে ঘাতক রায়হানকে বিয়ে করে ঘর বেঁধেছিলেন সায়মা আক্তার মীম (২২)। গত (১৪ অঅক্টোবর) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক সেতু এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদীর পাশে ঝোপের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের চার দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে ঝোপে ফেলে যাওয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর পরই তার স্বামী রায়হানকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরের দিন বুধবার দুপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সায়মা আক্তার মীমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। নিহত সায়মা আক্তার মীম পাবনার সুজানগর থানার দয়ালনগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্বামী রায়হানকে সঙ্গে নিয়ে মোগরাপাড়া দমদমা আমতলা এলাকার ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গত (১০ অক্টোবর) শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি সায়মা আক্তার মীম। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্বজনরা। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাইকারটেক সেতুর নিচে ঝোপের মধ্যে স্কচটেপ মোড়ানো একটি বস্তা দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। সন্ধ্যার পর সাড়ে ৭ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি খুলে কালো পলিথিনে মোড়ানো এবং স্কচটেপ প্যাঁচানো ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। খবর পেয়ে নিহতের মামা খোকন শেখ সাগর এসে লাশটি শনাক্ত করেন। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
