ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ৮ অক্টোবর ২০২৫ ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
গাজায় দুই বছর যুদ্ধ করে ইসরায়েলের ‘অর্জন’ কী?
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Wednesday, 8 October, 2025, 10:11 AM

গাজায় দুই বছর যুদ্ধ করে ইসরায়েলের ‘অর্জন’ কী?

গাজায় দুই বছর যুদ্ধ করে ইসরায়েলের ‘অর্জন’ কী?

সাত অক্টোবর, ২০২৩। ইসরায়েলের ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০  মানুষকে হত্যা করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা, ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ অনেক দেশ।

একদিন পর, অর্থাৎ, ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) । তারপর থেকে দুই বছর কেটে গেছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গত দুই বছরে ইসরায়েল সেনার আক্রমণে অন্ততপক্ষে ৬৬ হাজার মানুষ মারা গেছেন, তারমধ্যে ৮০ শতাংশই বেসামরিক মানুষ। আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক লাখ ৬৯ হাজার মানুষ।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, গাজায় ৯০ শতাংশ বাড়ি হয় ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার ২১ লাখের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইসরায়েল তাদের অনুমতি ছাড়া গাজায় কোনো জিনিস ঢুকতে দিচ্ছে না, তাই সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ১৫০ জন শিশুসহ ৪৫০ জন মারা গেছেন।

ইসরায়েলের লক্ষ্য আংশিক পূরণ হয়েছে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, দুইটি লক্ষ্য নিয়ে তিনি যুদ্ধে নেমেছেন। এক, সব জিম্মিকে মুক্ত করবেন, দুই, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করবেন। দুই বছর পর দুইটি লক্ষ্যের কোনোটিই তিনি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেননি।

২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ১৪৮ জন জীবন্ত অবস্থায় ইসরায়েল ফিরেছেন। বেশ কিছু মৃ়ত জিম্মির দেহও ইসরায়েলে এসেছে। এখনো ৪৮ জন পণবন্দি হামাসের কাছে আছে। তার মধ্যে ২০ জন বেঁচে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত দুই বছরে ইসমাইল হানিয়া, সিনওয়ারের মতো হামাস নেতাসহ অসংখ্য হামাস কর্মী মারা গেছেন। তা সত্ত্বেও হামাস এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি মানলে হামাস আর সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিসাবে কাজ করতে পারবে না।

ইসরায়েলের শত্রুরা দুর্বল হয়েছে

লড়াইটা শুধু গাজায় সীমাবদ্ধ ছিল না, ইয়েমেনে হুতি, লেবাননে হিজবুল্লার সঙ্গেও হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানে পরমাণু প্রকল্পের উপর লাগাতার বোমাবর্ষণ  করেছে। সিরিয়ায় বাশার আসাদের শাসন শেষ হওয়ায় ইরান দীর্ঘদিনের এক মিত্রকে হারিয়েছে।

হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লা এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার ইসরায়েলের আক্রমণে মারা গেছেন।

গণহত্যার অভিযোগ

গত দুই বছরে ইসরায়েলের সেনা গাজায় হাসপাতালে, ত্রাণশিবিরে, স্কুলে বোমা ফেলেছে, যার ফলে প্রচুর নারী, শিশু মারা গেছেন। প্রচুর সাংবাদিক, ত্রাণকর্মী, উদ্ধারকারী কর্মীও মারা গেছেন। ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর জেনোসাইড স্কলারস, বি সেলেম ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের মতো ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েল গণহত্যা করছে। নেতানিয়াহুর সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ধরনের কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। তারা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছেন মাত্র।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status