এবার গ্রেটা থুনবার্গ নিজেই জানালেন তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() এবার গ্রেটা থুনবার্গ নিজেই জানালেন তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল দেশে ফিরে স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে থুনবার্গ বলেন, ইসরায়েলি সেনারা তাঁকেসহ অন্যদের ‘অপহরণ ও নির্যাতন’ করেছেন। থুনবার্গ এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সাংবাদিকেরা বারবার জানতে চাইলে পরিবেশ আন্দোলনের এই কর্মী শুধু বলেন, তাঁকে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়নি এবং অন্য আটক ব্যক্তিদের জরুরি ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। থুনবার্গ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি যা সহ্য করেছি, তা প্রকাশ করতে চাই না। কারণ, আমি চাই না, খবরের শিরোনাম হোক যে গ্রেটাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আসল গল্প সেটি নয়।’ গ্রেটা থুনবার্গ এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সাংবাদিকেরা বারবার জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, তাঁকে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়নি এবং অন্য আটক ব্যক্তিদের জরুরি ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। থুনবার্গের মতে, তাঁদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা গাজার মানুষের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার তুলনায় কিছুই নয়। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি। তারা বারবার দাবি করেছে, আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো ধরনের অসদাচরণ করা হয়নি। গত সপ্তাহে রয়টার্সকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘সব আটক ব্যক্তিকে পানি, খাবার ও শৌচাগার ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আইনি পরামর্শ নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি এবং তাঁদের সব আইনি অধিকার পুরোপুরি রক্ষা করা হয়েছে।’ থুনবার্গ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের একটি নৌবহরে ছিলেন। বহরটি গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং অবরুদ্ধ এ অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ২২ লক্ষাধিক বাসিন্দার একটি বড় অংশ গৃহহীন অবস্থায় আছে এবং ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগছেন। সম্প্রতি থুনবার্গকে ফ্লোটিলা বহরের আরও ৪৭৮ যাত্রীর সঙ্গে আটক করে ইসরায়েল। গত সোমবার তাঁকে দেশটি থেকে ফেরত পাঠানো হয়। ইসরায়েল বলছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ বা খাদ্যসংকটের খবর অতিরঞ্জিত। দেশটির দাবি, ফ্লোটিলার এমন অভিযান ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকেই সুবিধা দেবে। এর আগে গত জুনে একইভাবে গাজায় অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন থুনবার্গ। তখনো ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সমুদ্র থেকে আটক করেছিল। গত সপ্তাহে রয়টার্সকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘সব আটক ব্যক্তিকে পানি, খাবার ও শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আইনি পরামর্শ নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি এবং সব আইনি অধিকার পুরোপুরি রক্ষা করা হয়েছে। গত শুক্রবার সুইডিশ অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন, থুনবার্গকে আটক অবস্থায় ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে ইসরায়েলের পতাকা পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে থুনবার্গ মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ব্যক্তিগতভাবে আমি যা সহ্য করেছি, তা প্রকাশ করতে চাই না। কারণ, আমি চাই না, খবরের শিরোনাম হোক যে গ্রেটাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আসল গল্প সেটি নয়। থুনবার্গ ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী আরও অভিযোগ করেন, আটক অবস্থায় সুইডিশ সরকার তাঁদের যথেষ্ট সহায়তা দেয়নি। তবে সুইডিশ সরকার গতকাল একটি বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় সব ধরনের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার জন্য তারা বারবার পরামর্শ দিয়েছে। এর পরও অধিকারকর্মীদের কনস্যুলার থেকে সহায়তা দেওয়া হয় এবং ইসরায়েলকে সুইডিশ নাগরিকদের সঙ্গে যথাযথ আচরণের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো হয়। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |