ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
তাড়াশে তলিয়ে গেছে গোচারণভূমি, পশু নিয়ে বিপদে খামারি
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ
প্রকাশ: Saturday, 23 August, 2025, 3:16 PM

তাড়াশে তলিয়ে গেছে গোচারণভূমি, পশু নিয়ে বিপদে খামারি

তাড়াশে তলিয়ে গেছে গোচারণভূমি, পশু নিয়ে বিপদে খামারি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বন্যার পানিতে হাজার বিঘার গোচারণভূমিসহ বিস্তীর্ণ জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে মিলছে না সবুজ ঘাস। খড়, কচুরি, খৈল, ভুসিসহ প্যাকেটজাত গোখাদ্যেই প্রতিপালন করা হচ্ছে পশু। উচ্চমূল্যের এসব গোখাদ্য খাওয়ানোয় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ দুধ। এ ছাড়া উঁচু স্থান, বসতবাড়ি বা খামারের ছোট্ট জায়গায় গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গবাদিপশু। এতে পশু আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। লোকসানের শিকার হচ্ছেন বন্যাকবলিত গোখামারিরা।

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বস্তা খৈল, ভুসি ও প্যাকেটজাত গোখাদ্যের দাম দুই থেকে চার'শ টাকা বাড়িয়েছেন দোকানিরা। এতে বেড়েছে গবাদিপশু প্রতিপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন ব্যয়। ব্যয় বাড়লেও সবুজ ঘাস না থাকায় কমেছে দুগ্ধ উৎপাদন। একই সঙ্গে ছোট্ট খামারের অল্প জায়গায় ইটের ওপর গবাদিপশু লালন-পালন করায় দেখা দিচ্ছে খুরা, তড়কা, ম্যাসটাইটিসসহ ভাইরাসজনিত নানা রোগ। এতে ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছেন গোখামারিরা।

সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের খামারি আইয়ুব আলী বলেন, এখন গরু বিক্রি করে গোখাদ্যের দামই উঠছে না। গরু লালন-পালন করে তাঁদের লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

খামারি অজেদ হোসেন বলেন, ‘গরু বাথানে থাকলে সবুজ ঘাস খাইত, বেশি দুধ হইত। এখন বাঁধ ভেঙে বাথান পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বাড়িতে রাখা হয়েছে। সবুজ ঘাস না খাওয়ার কারণে দুধ হচ্ছে কম। ঘাস পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি সহায়তা দেওয়ার জন্য বন্যায় গবাদিপশু পালনকারীদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। খুরা, তড়কা, ম্যাসটাইটিসসহ নানা রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা দিতে মাঠে কাজ করছেন পশু চিকিৎসকেরা।

তিনি আরও বলেন, গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে পশুর সেবা, টিকা ও কৃমিনাশক ব্যবহারের বিষয়ে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status