ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
ফেনী: নদীর সংকীর্ণ পথ, মানুষের দুর্ভোগ
রহিম আলী জাবেদ, ফেনী
প্রকাশ: Saturday, 23 August, 2025, 1:30 PM

ফেনী: নদীর সংকীর্ণ পথ, মানুষের দুর্ভোগ

ফেনী: নদীর সংকীর্ণ পথ, মানুষের দুর্ভোগ

ফেনীসহ আশপাশের জেলা ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৩৯ জন, এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সম্পদ। বছর পার না হতেই ২০২৫ সালের বর্ষায় তিন দফায় আবারও বন্যার আঘাত পেয়েছে এই অঞ্চল। চলতি বছরের ক্ষতির পরিমাণ alone ২৩৮ কোটি টাকার বেশি।

ফেনীর উজান থেকে নেমে আসা সীমান্তবর্তী তিন নদী—মুহুরী, কহুয়া এবং সিলোনিয়া—বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। নদীগুলোর প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে বানভাসি হয় লাখো মানুষ। উদাহরণস্বরূপ, মুহুরী নদীর ভারতের অংশের প্রশস্ততা প্রায় ২৫০ মিটার হলেও বাংলাদেশের ফুলগাজী অংশে তা মাত্র ৩০ মিটারে দাঁড়ায়।

গত ৯ বছরে ফেনীর বড় তিনটি নদীর ১২২ কিলোমিটার গা ঘেঁষা বাঁধের ২১৪টি স্থান ভেঙেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকার প্রায় ৮ হাজার ৮০৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে নদী সংস্কার ও বাঁধ মেরামতের জন্য। স্থানীয়রা মনে করেন, এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হলে নদীর প্রশস্ততা ও গভীরতা ফিরে পাবে এবং বন্যার প্রবণতা কমবে।

অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণ এবং প্রশাসনের কিছু অপ্রয়োজনীয় কাজও নদীর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি সঠিক সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিত, তবে গত বছরের মতো পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো।

শুধু বর্ষায় নয়, শুষ্ক মৌসুমেও নদী পাড়ের মানুষ পানির সংকটের মুখোমুখি হন। উজান থেকে পানি না আসায় কৃষির ক্ষতি হয় এবং আর্থিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বলেন, “ফেনী অঞ্চলের নদীগুলো মূলত ভারত ও আসামের জলাশয় থেকে আসে। পানি প্রবাহের চ্যানেলগুলো ধীরে ধীরে সরু হয়ে গেছে, যা বন্যার প্রধান কারণ।”

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন জানান, “৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নদী খনন করে পর্যাপ্ত পানি নি‌র্গমের ব্যবস্থা করা। ছোট ছোট ব্রিজগুলোর জন্য যে বাধা সৃষ্টি হয়, তার রিপোর্ট করা হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নদীর সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ-ভারত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই দুর্যোগ চক্র থামানো সম্ভব নয়। নদীর গতিপথ ফিরিয়ে দিলে এবং পানি প্রবাহের বাধা দূর করলে বন্যার ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status