শিক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কেমব্রিজে অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ এশিয়া স্কুল সম্মেলন
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() শিক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কেমব্রিজে অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ এশিয়া স্কুল সম্মেলন ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৪৪ মিলিয়ন নতুনশিক্ষকের প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলনটি। এই চাহিদাকেগুরুত্ব দিয়ে, কেমব্রিজ দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের প্রতি তাদের নিষ্ঠাকেপুনর্ব্যক্ত করে। এতে নতুন পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং যোগ্যতা ও দক্ষতাবৃদ্ধির কোর্স, শিক্ষকতা শুরু করার পূর্ব প্রশিক্ষণ এবং স্বল্পমেয়াদি ই-লার্নিংমডিউলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের শিক্ষকতার সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে কেমব্রিজেরইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন বিভাগের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রড স্মিথ দক্ষিণ এশিয়ার স্কুল কর্তৃপক্ষদেরপ্রশংসা করেন কারণ তারা কেমব্রিজের সঙ্গে একযোগে পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা উপকরণ গঠনে কাজকরছেন এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্বে উপযোগী করে গড়ে তুলতে নতুন ও উদ্ভাবনী কর্মসূচি চালুকরছেন। তিনি বলেন, “কেমব্রিজে আমরা শিক্ষার্থীদের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্যপ্রস্তুত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নেসহায়তা করছি, মূল্যায়নে অগ্রগতি আনার জন্য ডিজিটাল পরীক্ষা চালু করছি এবং শেখার প্রক্রিয়ায়কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে একীভূত করছি। দক্ষিণ এশিয়া এখন এক উৎকর্ষতাপূর্ণ শিক্ষা কেন্দ্রহয়ে উঠছে, এবং এই অঞ্চলে শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ গঠনে আমরা কেমব্রিজ আর্লি ইয়ার্স ও ক্লাইমেট কোয়েস্ট -এর মতো নতুন কর্মসূচি গড়েতুলতে স্কুলগুলোর সঙ্গে একসাথে কাজ করতে পেরে করতে পেরে গর্বিত।” দক্ষিণ এশিয়ায় কেমব্রিজেরআন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় শর্মাবলেন, “গুণগত মানের সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে আন্তর্জাতিক শিক্ষাকে আরও সহজলভ্যকরার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অটুট। আমরা আমাদের স্কুলগুলোর মধ্যে শেখানো,পড়ানো এবং মূল্যায়নের মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করি। এই সম্মেলনেরমাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হলো, এই দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি, সমাজ ও অর্থনীতিরযুগে শিক্ষার্থীরা যেন শুধু খাপ খাইয়ে নিতে নয়, বরং উৎকর্ষ অর্জন করতে পারে, সেইলক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার নতুন পথ সন্ধান।” শিক্ষার্থীদের জন্য কেমব্রিজের অন্যান্য উল্লেখযোগ্যউদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—জলবায়ু সহনশীলতা গঠনে ক্লাইমেট কোয়েস্ট, গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় সহায়তার প্রয়োজনে তৈরি কেমব্রিজ কানেক্ট, স্থানীয় ভর্তি সময়েরসঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে চালু করা মার্চএক্সাম সিরিজ, ইংরেজিকে দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইনটিগ্রেটেড লার্নিংঅ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট এবং উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশেইয়াং পায়নিয়ার্স কর্মসূচি। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট বক্তারা,যেমন: মার্ক উইন্টারবটম,অধ্যাপক, শিক্ষা বিভাগ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়; সারা হিউজেস, গবেষণা প্রধান, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন, কেমব্রিজ;সঞ্জয় জৈন, প্রধান,গুগল ফর এডুকেশন, ভারত; লিন্ডসেনাডিন, পরিচালক, ডিজিটাল পণ্য ও সেবা, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন; ড. সু ব্রিন্ডলি, শিক্ষা অনুষদ, কেমব্রিজবিশ্ববিদ্যালয়; অ্যাবিগেইল বার্নেট,পরিচালক, কেমব্রিজ ৩-১৯ পাঠ্যক্রম; আইনূরইসমায়িলি করাকোচ, সিনিয়র ইম্প্যাক্ট ইভ্যালুয়েটর, সিইউপিএ, এবংকেভিন ইবেনেজার,পরিচালক, ইউনিভার্সিটি পাথওয়েজ অ্যান্ড প্রোগ্রেশন, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন;প্রমুখ। এছাড়াও, সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য ক্লাইমেট কোয়েস্ট, কেমব্রিজ কানেক্ট, মার্চএক্সাম সিরিজ, ইনটিগ্রেটেডলার্নিংঅ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট, এবং ইয়াংপায়নিয়ার্স কর্মসূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোকে তুলে ধরা হয়।সেমিনারগুলোতে ক্লাসরুমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাব্যবহারের বিষয়, ডিজিটাল গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এবং ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার পথ নিয়েআলোচনা করা হয়। আলোচিত প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল—ক্লাসরুমে সচেতনতা গঠনেরকৌশল, পরিবর্তনশীল ক্যারিয়ার পথের জন্য কলেজে প্রস্তুতির নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবংগুণগত শিক্ষায় সমান অধিকার। সম্মেলনের সময় বিভিন্ন স্কুলকে তাদের একাডেমিকউৎকর্ষতার জন্য কেমব্রিজ স্কুল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ডসপ্রদান করা হয়।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |