|
মাদকের বিনিময়ে পণ্য পাচারের অভিযোগে ৯ চোরাকারবারী আটক
রফিক মাহমুদ, উখিয়া
|
![]() মাদকের বিনিময়ে পণ্য পাচারের অভিযোগে ৯ চোরাকারবারী আটক মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়—একটি অসাধু চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিপরীতে ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক মায়ানমার থেকে দেশে আনতে চায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কক্সবাজার কক্সবাজারের বাকখালী মোহনা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় সন্দেহজনক একটি ফিশিং ট্রলার আটক করে তল্লাশি চালানো হলে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা বিপুল পরিমাণ পণ্য উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে—২৯ বস্তা ময়দা, ২৮ হাজার পিস গ্যাস লাইট, ৪ হাজার ৮০০ প্যাকেট মশা কয়েল, ২৮ বস্তা রসুন, ৬২৪ প্যাকেট সাবান, ৭০ বস্তা ডিএপি সার ও ৯৬ বোতল সয়াবিন তেল। জব্দ করা এসব পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা বলে জানিছেন কোস্ট গার্ড। অভিযানে ট্রলারসহ ৯ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটক আসামিরা হল কক্সবাজার সদরের ফকির মোহাম্মদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৮) (মাঝি), আবুল কামাল (৫৯) ও সাইসং (৬৩), কুতুবদিয়ার বাসিন্দা ফরিদুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিন কাদের (৩৮), মহেশখালী উপজেলার নুরুল ইসলামের ছেলে আফছার (৩০), চকরিয়া উপজেলার আব্দুল গনির ছেলে আব্দুল খালেক (৫০), হাফেজ মোহাম্মদ উল্লাহ ছেলে মোঃ ইউনূস (৬০), উখিয়া উপজেলার মফিজুর রহমানের ছেলে তৈয়ব গোলাম (৬১) এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার পাটানের ছেলে মিজান (২৫)। জব্দকৃত বোট ও পণ্যসমূহের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
