ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় মশাল মিছিল ও গণসমাবেশ
বিধান বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: Tuesday, 25 November, 2025, 11:36 AM

চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় মশাল মিছিল ও গণসমাবেশ

চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় মশাল মিছিল ও গণসমাবেশ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল ও গণসমাবেশ করেছে ‘বন্দর রক্ষা ও করিডোর বিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রাম’।

সমাবেশে বক্তারা শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ডাকা বন্দর অবরোধ কর্মসূচিকে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে বলেন, দেশের কৌশলগত সম্পদ, চট্টগ্রাম বন্দর- বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো এখতিয়ার অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। জনমত উপেক্ষা করে দেশের সম্পদ নিয়ে যেভাবে সরকার ছিনিমিনি খেলছে, তা বন্ধ করতে হবে। নাহলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মতো জনতা রাস্তায় নেমে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর আমতল মোড়ে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী। সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা ফজলুল কবির মিন্টু, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি টিকলু কুমার দে, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি রূপম কান্তি ধর, সাংস্কৃতিক সংগঠক শিমুল সেন, শ্রমিক নেতা আবু বকর সিদ্দিকী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি দায়িত্ব ছিল- বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। কিন্তু গত ১৫ মাসে দেখা যাচ্ছে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে; পতিত সরকারের মতো তারাও জনমতকে তোয়াক্কা করছে না। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যেখানে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। বন্দর ইজারা দেওয়া সেই প্রক্রিয়ারই অংশ। এই ইজারা দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

তারা আরও বলেন, জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী জনমত তৈরি হয়েছে। কিন্তু গণদাবি উপেক্ষা করে সরকার তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। বন্দরের ইজারা প্রক্রিয়ার তাড়াহুড়া দেখে মনে হয়, সুযোগ পেলে তারা পুরো দেশই বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দিত। বিদেশি নাগরিকদের এনে ইন্টেরিম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে, যাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলেই মনে হয়; বরং তারা বিদেশি স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত।

বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের জনগণের সম্পদ- এটি নিয়ে কোনো চক্রান্ত চলতে দেওয়া হবে না। এনসিটি নিয়ে ডিপি ওয়ার্ল্ডসহ কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না। বন্দরের নিজস্ব শ্রমিক-কর্মচারীদের দিয়েই এনসিটি পরিচালনা করতে হবে। লালদিয়ার চর ও পানগাঁও নিয়ে করা চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। জাতীয় সম্পদ নিয়ে যারা চক্রান্তে লিপ্ত, জনগণ ইতোমধ্যে তাদের স্বার্থবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে- একদিন তাদের আইনের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে।

আগামী বুধবার (২৬ নভেম্বর) স্কপের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনতাকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, এরপরও সরকারের বোধোদয় না হলে হরতাল-অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status