|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না জোহরান মামদানি, সংবিধানই বাধা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না জোহরান মামদানি, সংবিধানই বাধা মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ, প্রথম ধারায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে হলে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হতে হবে। অর্থাৎ জন্মের সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকতে হবে, তা যেখানেই জন্ম হোক না কেন-যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলে স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, আর বিদেশে জন্ম হলেও যদি পিতামাতার কেউ মার্কিন নাগরিক হন, তখন সন্তানও জন্মসূত্রে নাগরিক হয়। জোহরান মামদানি ১৯৯১ সালে উগান্ডার কাম্পালায় জন্মগ্রহণ করেন, ভারতীয়-উগান্ডান পরিবারের সন্তান হিসেবে। সাত বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে নাগরিকত্ব পান। অর্থাৎ তিনি জন্মসূত্রে নাগরিক নন, বরং স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে নাগরিক হয়েছেন। এই কারণে সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়া তাঁর জন্য সম্ভব নয়। মামদানিকে অনেকেই ভবিষ্যতের জাতীয় স্তরের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দেখছেন। তবে জন্মসূত্রে নাগরিক না হওয়ার কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না-ঠিক যেমন করতে পারেননি ইলন মাস্ক বা ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারও। শোয়ার্জনেগারও জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু একই কারণে বাধার মুখে পড়েছিলেন। তত্ত্বগতভাবে এই নিয়ম পরিবর্তন সম্ভব হলেও বাস্তবে তা খুবই কঠিন। ২০০৩ সালে সিনেটর অরিন হ্যাচ ‘ইক্যুয়াল অপরচুনিটি টু গভার্ন অ্যামেন্ডমেন্ট’ প্রস্তাব করেছিলেন, যাতে বিদেশে জন্ম নেওয়া নাগরিকরাও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারেন। তবে প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা বিদেশি প্রভাব প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে এই শর্ত আরোপ করেছিলেন। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় পার হওয়ার পরও এই নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আইন পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের তিন-চতুর্থাংশ অনুমোদন প্রয়োজন, যা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
