|
মামদানিপত্নী রমা: প্রেম, পরিণয় আর নিউইয়র্কের নতুন ফার্স্ট লেডি
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() মামদানিপত্নী রমা: প্রেম, পরিণয় আর নিউইয়র্কের নতুন ফার্স্ট লেডি সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি জোহরান মামদানি শপথ নেবেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে। আর তাঁর সঙ্গে রমা হয়ে উঠবেন শহরের ফার্স্ট লেডি। শিল্পী রমা দুওয়াজি রমার বয়স এখন ২৮। পেশায় তিনি একজন শিল্পী-অ্যানিমেশন ও ইলাস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেন। সিরীয় অভিবাসী পরিবারের সন্তান রমার জন্ম ১৯৯৭ সালের ৩০ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে। নয় বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে তিনি চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। পরে আবার ফিরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর ভর্তি হন ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে অবস্থিত ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে রমা লেবানন ও ফ্রান্সে শিল্পীদের জন্য নির্ধারিত আবাসে কিছুদিন কাটান। ২০২১ সালে স্থায়ীভাবে নিউইয়র্কে চলে আসেন এবং ভর্তি হন নিউইয়র্ক স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস-এ। ২০২৪ সালে সেখান থেকে তিনি ফাইন আর্টসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্কারসহ বিশ্বখ্যাত পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কাজ। নিজের ওয়েবসাইটে রমা জানিয়েছেন-তাঁর শিল্পচর্চা মূলত গভীর আবেগ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। প্রেম থেকে পরিণয় কথিত আছে, ২০২১ সালে একটি ডেটিং অ্যাপে জোহরান মামদানি ও রমার পরিচয়। পরবর্তী সাক্ষাৎকারে জোহরান নিজেও এই গুঞ্জনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিন বছরের সম্পর্ক শেষে ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁদের বাগ্দান সম্পন্ন হয়। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কে হয় তাঁদের বিয়ে, আর জুলাইয়ে জোহরানের জন্মস্থান উগান্ডার কাম্পালায় বুজিগা হিলে আয়োজিত হয় বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। জোহরানের রাজনীতিতে রমার দৃঢ় উপস্থিতি জোহরান যখন নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনের দৌড়ে নামেন, রমা তখন তাঁর পাশে থেকেছেন নীরবে অথচ দৃঢ়ভাবে। অনলাইনে তাঁকে নিয়ে ডানপন্থী গোষ্ঠীর ট্রল ও সমালোচনা চললেও জোহরান খোলামেলা সমর্থন জানিয়েছেন স্ত্রীর প্রতি। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, রমা শুধু আমার স্ত্রী নন, তিনি একজন অসাধারণ শিল্পী। নিজের মতো করে পরিচিতি পাওয়ার যোগ্যতা তাঁর আছে। আপনি আমার সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবারের নয়। বিজয়ের মুহূর্তে ২০২৫ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে সাবেক গভর্নর ও ট্রাম্প-সমর্থিত প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েন ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। বিজয় ভাষণে তিনি ধন্যবাদ জানান সমর্থকদের, ব্যঙ্গ করেন ট্রাম্পকে, আর মঞ্চে ডেকে নেন স্ত্রী ও মা-বাবাকে। সেই সময় পেছনে বাজছিল বলিউডের জনপ্রিয় গান-ধুম মাচালে। জোহরানের মা বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার, আর বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাহমুদ মামদানি। দুজনই ভারতের সন্তান। জোহরান-রমার গল্প কেবল এক রাজনৈতিক জয়ের নয়; এটি এক তরুণ দম্পতির সমান্তরাল পথচলা-একজন রাজনীতিতে, আরেকজন শিল্পে। নিউইয়র্কের নতুন অধ্যায়ে তাঁদের এই ভালোবাসা ও সঙ্গই হয়তো হবে শহরের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী গল্প।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
