ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২ কার্তিক ১৪৩২
তুমি না মরলে মাহিরের হতে পারব না
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Tuesday, 21 October, 2025, 2:49 PM

তুমি না মরলে মাহিরের হতে পারব না

তুমি না মরলে মাহিরের হতে পারব না

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের হত্যার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেছেন, জোবায়েদ তখনো মারা যায়নি। বাঁচার জন্য দুই তলা থেকে উপরে ওঠে। তিন তলায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। তখন বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলে, আমাকে বাঁচাও। কিন্তু বর্ষা বলে, তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না। বর্ষা তার মৃত্যু কনফার্ম করে যায়। তখন জোবায়েদ বাঁচার জন্য দরজায় নক করেও পায়নি।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিসি মল্লিক আহসান। তিনি বলেন, মেয়েটা অনেক চালু। দুইদিকেই সম্পর্ক বজায় রাখে।

পুলিশ বলছে, হত্যার জন্য তারা নতুন দুইটা সুইচ গিয়ার কেনেন। ঘটনার সময় এলোপাতাড়ি ছুরি চালান মাহির। তাকে হত্যার জন্য প্রেমিককে বলেন মেয়েটি। এটি তাদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

ওসি বলেন, মেয়েটির সঙ্গে মাহিরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু মাঝে তিনি জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়েন। এ সময় মাহিরকে না বলে দেন এবং জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিছুদিন পরই তার বয়ফ্রেন্ডকে জানান যে, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দুজন।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা বর্ষা ও মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয়। এবং সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায় যে জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহীর।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা স্বীকার করেনি ছাত্রী। পরবর্তীতে মাহির ও তাকে মুখোমুখি করলে সত্য ঘটনা জানায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেয়া যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করেন তারা।  

জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছাত্রীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে। সোমবার জোবায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় ছাত্রীটিকে ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন।  রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় ওঠার সময় সিঁড়িতে তিনি খুন হন। নিচ তলার সিঁড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত রক্ত ছড়িয়ে ছিল। 

সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় জোবায়েদকে। পরবর্তীতে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা তাতীবাজার মোড়ও অবরোধ করে রাখেন। রবিবার রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে চল জিজ্ঞাসাবাদ। রাতে আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ নিয়ে যায়। 

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status