|
পেকুয়ার বালি দস্যুদের নেতৃত্বে অবৈধ বালি উত্তোলন করে গড়ে তুলেন পাহাড়
নিজামুল ইসলাম নিজাম ,পেকুয়া
|
![]() পেকুয়ার বালি দস্যুদের নেতৃত্বে অবৈধ বালি উত্তোলন করে গড়ে তুলেন পাহাড় (১৩ অক্টোবর) সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মালগারা ফসলি জমিতে দেখা মিলেছে বিশাল দুইটি বালিস্তুপ। গত কয়েক সাপ্তাহে বালি খেকোরা টৈটং চরা এবং ফসিল জমিন ভেঙে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিশাল পাহাড় গড়েছে । আশপাশে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে স্তুপ করেছেন বালি খেকোরা।ডাম্পার দিয়ে বালি পরিবাহনের কারণে ধ্বংস হয়েগেছে বটতলি থেকে হাবিব পাড়া রাস্তা। এখন এ রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ী চলাচলের অবস্থা নাই। বালু পরিবহনের অবৈধ ডাম্পার গাড়ী চলাচলের কারণে বড় বড় গর্ত ও হাটু পারিমাণ কাদা হয়ে গেছে। কোন ডেলিভারি রোগী বা জটিল রোগী নিয়ে গেলে ব্যাপক দূর্ভোগে পড়তে হয়।লাশবাহী কাটিয়া নিতেও কষ্ট হয়। সব মিলিয়ে কষ্টের সময় পার করছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কয়েকটি ব্যক্তি রাজনৈতিক পরিচয় কাটিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা নষ্ট করেছেন। নিরাপত্তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। স্থানীয় সূ্ত্রে জানায়, বটতলি মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে ইকবাল, মৃত টুনু মিয়ার ছেলে কালু, হাজ্বী মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আজিজ মনু, মোজাহের মিয়ার ছেলে মনজুর আলম, মোহাম্মদ মোক্তার, দানু মিয়ার ছেলে মনজুর আলম, ও আব্দুল মজিদ,খলিফা হেলালসহ অনেকে অবৈধ বালি উত্তোলনে জড়িত। স্থানীয়রা জানান, টৈটং বটতলি, হাবিব, মালগারা অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের জন্য গড়ে উঠেছে দুইটি সিন্ডিকেট। এ সিণ্ডিকেট সদস্যরা পাহাড়ি চড়া ও ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে পাচার করছেন। ধ্বংস হচ্ছে রাস্তা ও পরিবেশ জীববৈচিত্র।মালগারায় ভাঙ্গন এলাকায় চড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে দুইটি বালির পাহাড়। তাদেরকে সাধারণ জনগণ নিষেধ করতে চাইলে বালি খেকোরা বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা। প্রশাসনের উচ্চ মহলের সহযোগীতা কামনা করেন তারা। অভিযুক্ত কালু সাওদাগর বলেন, আমারা ভাঙ্গা থেকে উঠাইছি, আমাদের জায়গা আমরা বালি না উঠিয়ে কি আপনি উঠাবেন?এটা এখন বের করব না। ধান কাটলে তখন বের করব। অভিযুক্ত ইকবাল বলেন, আমি যে বালি উত্তোলন করছি সেই গুলো নিয়ে আসছি। এখন আমার বালি নাই। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, এর আগেও অভিযান করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
