বাগমারায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনায় কারা নির্যাতিত নেতা অধ্যাপক কামাল হোসেন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() বাগমারায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনায় কারা নির্যাতিত নেতা অধ্যাপক কামাল হোসেন অধ্যাপক কামাল হোসেন শুধু রাজনীতিক নন, তিনি সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী একজন মানুষ হিসেবেও সমানভাবে সম্মানিত। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে তিনি বাগমারার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্বের এক প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন। তাঁর নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি তৃণমূল থেকে পুনর্গঠিত ও শক্তিশালী হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে ‘নেতার চেয়ে বেশি আপনজন’ হিসেবেই মনে করেন। ২০০৮ সালের পরবর্তী সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর শুরু হওয়া রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হন অধ্যাপক কামাল হোসেনও। আন্দোলন-সংগ্রামের সময় তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, কারাবাসের সময় তিনি অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন, তবুও আদর্শ ও নেতৃত্ব থেকে একচুল নড়েননি। বরং, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আরও দৃঢ় প্রত্যয়ে তিনি দল সংগঠনে মনোনিবেশ করেন। তাঁর এই ত্যাগ, সাহস ও অবিচল আদর্শই তাঁকে আজ দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক করে তুলেছে। বাগমারার রাজনীতিতে অধ্যাপক কামাল হোসেনের অবস্থান এখন অনেক শক্তিশালী। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় স্থানীয় বিএনপি সভাপতি, সম্পাদকসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দলীয় ঐক্যকে মজবুত করেছে। তিনি নিয়মিত মাঠে থেকে দলের কর্মকাণ্ড তদারকি করেন এবং জনগণের পাশে থাকেন প্রতিটি সংকটে। স্থানীয়দের মতে, তিনি বিএনপির নেতা যিনি দলীয় দায়িত্বের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সরাসরি অংশ নেন। দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, ত্যাগী, সৎ ও জনবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন দিলে বাগমারায় বিএনপি নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। তাঁরা বিশ্বাস করেন, অধ্যাপক কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশ নিলে জনগণের বিশাল সমর্থন নিয়ে বাগমারা আসনে ‘ধানের শীষ’-এর জয় নিশ্চিত হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অধ্যাপক কামাল হোসেনের ক্লিন ইমেজ, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অতীতের সংগ্রামী ভূমিকা তাঁকে এই আসনে একটি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি শুধু রাজনীতি করেন না, তিনি রাজনীতিকে মানবসেবার মাধ্যম হিসেবে দেখেন। তাঁর মতো যোগ্য, পরিশ্রমী ও নির্যাতিত নেতার নেতৃত্বে বাগমারার রাজনীতি নতুন দিকনির্দেশনা পাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। বর্তমানে বাগমারার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে একটাই আলোচনা অধ্যাপক মো. কামাল হোসেনই হতে যাচ্ছেন ‘ধানের শীষ’-এর কান্ডারী। অনেকেই দাবি করছেন, তিনি ইতোমধ্যে দলীয় উচ্চ পর্যায় থেকে “সবুজ সংকেত” পেয়েছেন। যদি বিএনপি তাঁকে মনোনয়ন দেয়, তবে এই আসনে শুরু হবে এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় যেখানে আদর্শ, সততা ও মানুষের ভালোবাসাই হবে রাজনীতির মূল শক্তি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, কারা নির্যাতিত নেতা অধ্যাপক কামাল হোসেন কেবল বিএনপির নয়, বাগমারার মানুষের এক বিশ্বাসের প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে আগামী দিনে বাগমারায় গড়ে উঠতে পারে উন্নয়নমুখী, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতি। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |