শরীরে অতিরিক্ত চিনি থাকলে যেসব সংকেত দেখা দেয়
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() শরীরে অতিরিক্ত চিনি থাকলে যেসব সংকেত দেখা দেয় ভারতীয় চিকিৎসক ডা. মঞ্জুষা আগরওয়াল বলেন, ‘যদি সারা দিন ধরে দুর্বল লাগে, তাহলে তার কারণ হতে পারে রক্তে অতিরিক্ত চিনি। বেশি চিনি শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়, ফলে ঘন ঘন টয়লেটে যেতে হয় এবং সেই সঙ্গে পিপাসাও বাড়ে।’ তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত চিনি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা করতে পারে এবং ক্ষত সারাতে সময় নেয়, কারণ এটি রক্তনালির ক্ষতি করে। অন্যদিকে আরেক চিকিৎসক বিজয় নেগালুর জানান, ‘চিনি হঠাৎ বেড়ে গেলে বা কমে গেলে খাওয়ার পরও দ্রুত ক্ষুধা লাগে। আবার মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়, মাথা ভার লাগে, এক ধরনের ঘোরঘোর ভাব আসে।’ তিনি আরো যোগ করেন, ত্বকে কালচে দাগ বা স্কিন ট্যাগ দেখা দেওয়া—বিশেষ করে ঘাড়ের চারপাশে দাগ দেখা দেওয়া অতিরিক্ত চিনির আরেকটি চিহ্ন। কেন এসব লক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হবে এসব উপসর্গ আলাদা কিছু নয়, বরং একসঙ্গে দেখা দিলে তা রক্তচিনি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা বোঝায়। এমনকি ডায়াবেটিস নির্ণয় না হলেও সময়ের সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত চিনি জমে থেকে হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা বা স্নায়ুর ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রক্তচিনি পরীক্ষা (ফাস্টিং সুগার বা এইচবিএ১সি) করে নিশ্চিত হওয়া দরকার। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যতের জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়। রক্তচিনি নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায় খাবারে পরিবর্তন আনুন : প্রাকৃতিক ও পূর্ণ খাবার খান, মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন : হাঁটা, সিঁড়ি ওঠা বা ঘরের কাজও রক্তচিনি কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রেস, ঘুম ও পানি : যথেষ্ট ঘুম, মানসিক প্রশান্তি ও পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের ভারসাম্য রাখে। কেন দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি ডা. নেগালুর বলেন, ‘অতিরিক্ত চিনি একদিনের সমস্যা নয়। এটি ধীরে ধীরে শরীরের ভেতরে ক্ষতি করে। তাই ক্লান্তি, পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ত্বকের দাগ বা মনোযোগের সমস্যা—এসবকে অবহেলা করবেন না।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘সময়মতো রক্তচিনি পরীক্ষা ও জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই ভবিষ্যতের জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’ |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |