যে ৫ অভ্যাস না বদলালে অকালেই ঝরতে থাকবে চুল
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() যে ৫ অভ্যাস না বদলালে অকালেই ঝরতে থাকবে চুল চুল পড়া রুখতে অনেকে ভরসা রাখেন নামিদামি প্রসাধনীতে, কেউ আবার ঘরোয়া টোটকায়। তবে প্রতিদিনের কয়েকটি অভ্যাস না পরিবর্তন করলে সব চেষ্টাই বৃথা যেতে পারে। অভ্যাস পরিবর্তন না করে হাজার যত্ন নিলেও অকালে চুলের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারতে পারে টাক। তাই প্রতিদিনের কোন কোন অভ্যাস চুল নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী, জেনে নিন সেই বিষয়ে— ১। বর্তমানে অনেকেরই অফিস থেকে বাসায় ফিরে সন্ধ্যায় গোসল করার অভ্যাস রয়েছে। এরপর ভেজা চুল নিয়ে ঘুমিয়েও পড়েন। আর এসব অভ্যাসই চুলের বারোটা বাজে। মূলত ভেজা চুলে ঘুমালে চুল গোড়া থেকে নরম হয়ে যায়। এ ছাড়া চুলে জট পড়ে, ঘাম জমে দুর্গন্ধও বের হয়। ঘষে ঘষে মুছলেও চুল উঠতে পারে। ২। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। অনেকেরই গোসলের পর চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস রয়েছে। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া আলগা থাকে। ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। একই সঙ্গে চুল জোরে জোরে আঁচড়ানোও উচিত নয়। এতে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। চুল পড়া রুখতে মোটা চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। এতে জট পরলে চুল ছিঁড়বে না। তবে ভেজা চুলে ভুলেও চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে জট ছাড়াতে যাবেন না। তাহলে মুঠো মুঠো চুল উঠতে বেশি সময় নেবে না। সেক্ষেত্রে খোলা হাওয়ায় শুকিয়ে চুল আঁচড়ান। ৩। ভেজা চুল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া উচিত নয়। ব্যস্ততার যুগে গোসলের পরই ভেজা চুল কোনো রকমে বেঁধে অফিসমুখী হন অনেকেই। কিন্তু সেই অভ্যাস চুলের বারোটা বাজাতে দেরি করে না। শুধু তাই নয়, ভেজা চুল ক্লিপ দিয়ে আটকালে কিংবা বাঁধলেও চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। এমনকি ভেজা চুল বেঁধে রাখলে ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে। ৪। শ্যাম্পুর পর সবসময় কন্ডিশনার ও সিরাম ব্যবহার করুন। অনেকেই শ্যাম্পুর পর এগুলো ব্যবহার করতে ভুলে যান। কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু এবং তারপরই কন্ডিশনার ও সিরাম ব্যবহার করা জরুরি। তবে চুলের গোড়ায় কিংবা মাথার ত্বকে ভুলেও কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। ৫। খুব প্রয়োজন ছাড়া হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। নিয়মিত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। হেয়ার ড্রায়ারের গরম হাওয়া মাথার ত্বকেরও ক্ষতি করে, চুলের গোড়াকেও নষ্ট করে। তাই হেয়ার ড্রায়ার ছাড়াই চুল শুকানোর চেষ্টা করুন। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |