নিজের খেয়াল খুশি মত অফিস করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ
মুস্তাক আহমেদ
|
![]() নিজের খেয়াল খুশি মত অফিস করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ তেঁতুলিয়ায় বদলি হয়ে আসার পর থেকেই নিয়মিত অফিস করেন না এই কর্মকর্তা, যেখানে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বুঝে নেয়ার কথা, সেখানে প্রকল্প পরিদর্শনেও ঠিকমতো যান না তিনি। কাজের মান না দেখেই অর্থের বিনিময়ে কাজের বিল উত্তোলনের জন্য অনুমতি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে পিআইওর বিরুদ্ধে আনিত নানা অনিয়মের সত্যতাও মিলেছে। গত অর্থবছরে বিভিন্ন কাজের মান নিম্নমানের পাওয়ায় একাধিকবার চিঠিও প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেই সকল চিঠির প্রেক্ষিতে অদ্যবধি জবাব দেন নি এই কর্মকর্তা । উপজেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্র বলছে গত অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম তদন্তে সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছু কর্মচারী বলেন, আমরা যারা অফিসে কাজ করি অনেক সময় মানুষের গালাগাল শুনতে হয়, অনেকের কাজ আটকে থাকে, অনেক সময়ে হতদরিদ্র মানুষরা সহায়তার জন্য আছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, অফিসার না থাকায় আমরা কোন সহযোগিতা করতে পারি না। তাছাড়া মাঝে মাঝে ত্রাণের সাথে নগদ অর্থ প্রদানের বিষয়ে জটিলতা তৈরী হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, আমি পারিবারিক জটিলতায় নীলফামারী থেকে তেঁতুলিয়া অফিস করি। কিন্তু গত ১ সপ্তাহ ধরে আমি বদলি সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় অবস্থান করি। ইউএনওর ঠিঠির জবাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রকল্প ৩০ শে জুনের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে এর পর আমি সেই চিঠির জবাব দেই কি করে। তাছাড়া আমার অফিস স্টাফদের সহযোগীতা না পাওয়ায় কর্মপরিবেশ পাচ্ছি না। নীলফামারী থেকে অফিস করতে আমার খুব কষ্ট হয় তাই বদলির জন্য চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহিন খুসরু জানায়, সাম্প্রতি বাংলাবান্ধায় মহানন্দার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়া নদীপাড়ের মানুষের দুর্যোগ কালীন সময়ে উনাকে উপস্থিত পাইনি। উনি জেলা ভারপ্রাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কাছে কখন ছুটি নেয় আবার কখন যোগদান করেন আমি জানি না। সাম্প্রতি বর্ষায় একাধিক গ্রাম পানিতে ঢুবে গেলেও জরুরী ত্রাণ সেবা পরিচালিত করতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে উনি অফিসে দেখছিনা নিয়মিত। খোজ খবর নিলে জানতে পারি অফিসের আশাপাশে বাইরে অবস্থান করছেন। দুর্যোগের সময় জটিলতায় পড়তে হয়, তিনি কর্মস্থলে না থাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সহায়তা ব্যাহত হয়। সব কিছু বিবেচনা করলে কাজের প্রতি অনিহা ও সেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পায়। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |