কিশোরগঞ্জে চুরির প্রতিবাদ করে বিপাকে এলাকাবাসী
এম এ আজিজ, কিশোরগঞ্জ
|
![]() কিশোরগঞ্জে চুরির প্রতিবাদ করে বিপাকে এলাকাবাসী জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের চৌধুরীহাটি গ্রাম। এই গ্রামে গত জুলাই মাসে এলাকার মৃত দ্বীন ইসলামের ছেলে শাহীন মিয়া (৩৪) এর বাড়িতে চুরি হয়। এসময় শাহীনের ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে যায় চোরেরা। চুরির সাথে জড়িত থাকা সাইকুল ইসলাম সুন্দর আলী নামে একজনকে শনাক্ত করে স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি প্রকাশ হলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে চুরির সাথে জড়িত থাকা তিনজনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অভিযুক্ত চৌধুরীহাটি এলাকার মোঃ জালাল, সাইকুল ইসলাম সুন্দর আলী ও মহিনন্দ ইউনিয়নের মাতাল (ডাক নাম)। পরে এরই জেরে চুরির ঘটনাকে অন্যদিকে মোড় দিতে একমাস পর অভিযুক্ত জালাল চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আনসারি বলেন, এলাকায় একজন (জালাল) অটো চুরি করেছে এ কারণে জরিমানাও দিয়েছে। একমাস পর সে বলছে অটো চুরি করে নাই। এসব নিয়ে দরবার হয়েছে। আদালতে মামলা করেছে। এইটা সম্পূর্ন মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে। যে চুরি করছে তার শাস্তি হচ্ছে না। বরং যারা বিচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চোরের মায়ের বড় গলার মতো হয়ে গেল। স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান কাঞ্চন বলেন, শাহীনের অটো চুরি যাওয়ার পরে তথ্য নিয়ে একজনকে ধরে ফেলে। পরে বাকি দুইজনকেও ধরা হয়। তখন স্থানীয় গ্রামবাসী গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকার অটো ৬০ হাজার টাকা মূল্য ধার্য্য করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা সেই টাকা দিয়ে দেয়। যারা চুরি করেছে তাদের গায়ে কোন হাত তোলা হয়নি। গ্রামের মানুষ এলাকার কথা চিন্তা করে তাদের পুলিশে দেয়নি। বিচারের পর এলাকার একটি মহল বিরোধিতা শুরু করে চোর সাব্যস্ত জালালকে দিয়ে আবার দরবারের আয়োজন করায়। কিন্তু গ্রামবাসী সেই দরবার মেনে নেয়নি। পরে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আনিসুর রহমানের ভাষ্য, জালাল ও সুন্দর আলী গ্রাম্য সালিশে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা বলেছে যেহেতু চুরি করেছি এবং গাড়ীটাও বিক্রি করে দিয়েছি গাড়ী ফেরত আনা যাবে না। আমরা টাকা দিয়ে দিবো। এর আগেও জালাল চুরির দায়ে ১৫ বছর যাবত এলাকাছাড়া ছিল। অটো মালিক শাহীন বলেন, আমার অটো চুরির সাথে আমার গ্রামের ২ জন ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের একজন ছিল। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীর লোক একত্রিত হয়ে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে অভিযুক্তরা নিজেরাই প্রমাণ দিছে গাড়ীটা চুরি করে কিশোরগঞ্জ বিক্রি করে দিছে। গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে তাদের মারধর না করে গাড়ীর মূল্য নির্ধারণ করে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমার অটো ৮০ হাজার টাকা দিয়ে আমি কিনেছিলাম। আমার কাছেও তারা ক্ষমা চেয়েছে। আমি মাফ করে দিয়েছে। ঘটনার একমাস পর আমাদের নামে আদালতে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। অভিযুক্ত মোঃ জালাল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করলেও, চুরির অভিযোগে গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়টি সত্য বলে দাবি করেন। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |