ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কারাগারে অং সান সু চির অবস্থার অবনতি হচ্ছে, জানালেন ছেলে
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Saturday, 6 September, 2025, 12:16 AM
সর্বশেষ আপডেট: Saturday, 6 September, 2025, 5:33 PM

কারাগারে অং সান সু চির অবস্থার অবনতি হচ্ছে, জানালেন ছেলে

কারাগারে অং সান সু চির অবস্থার অবনতি হচ্ছে, জানালেন ছেলে

মিয়ানমারের কারারুদ্ধ নেত্রী অং সান সু চির গুরুতর অসুস্থতার খবর জানিয়েছেন তার ছেলে কিম আরিস। তিনি বলেছেন, সু চির হৃদরোগের সমস্যা আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং তার জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

নির্মম ও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে থাকা সামরিক হেফাজত থেকে সু চিকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ার এক আবেদনে শুক্রবার একথা জানিয়েছেন আরিস।

লন্ডন থেকে রয়টার্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরিস বলেন, সঠিক ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া তার হৃদযন্ত্রের অবস্থা বোঝার কোনও উপায় নেই। আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন। এমনকি তার জীবিত থাকার বিষয়টি যাচাই করারও কোনও উপায় নেই।

নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী এই নেত্রী হাড় ও দাঁতের সমস্যায়ও ভুগছেন বলে জানিয়েছেন আরিস। তিনি আরও বলেন, মার্চে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আহতও হয়ে থাকতে পারেন সু চি।

ওই ভূমিকম্পে ৩ হাজার ৭০০-র বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ফেইসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি সু চি ও মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দাবি করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র তাদের ফোনকল রিসিভ করেননি এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ও ইমেইলের জবাব দেয়নি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতায় জর্জরিত মিয়ানমার। সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে গণবিক্ষোভ থেকে শুরু করে সশস্ত্র বিদ্রোহ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

৭৯ বছর বয়সী সু চি বর্তমানে ২৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন। তার বিরুদ্ধে উসকানি, দুর্নীতি এবং নির্বাচনী কারচুপিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে, যা তিনি অস্বীকার করে আসছেন।

সেনা অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর, ২০২১ সালের মে মাসে আদালতে শেষবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল সু চিকে। তখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে তাকে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে আদালতের কাঠগড়ায় বসে থাকতে দেখা যায়।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার অভ্যুত্থানের যৌক্তিকতা হিসেবে দাবি করে যে নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সে দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বিদেশি সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই সু চির মুক্তি দাবি করে আসছে।

এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে ধাপে ধাপে নতুন নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসিসহ বেশিরভাগ গণতন্ত্রপন্থি দলকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

পশ্চিমা সরকারগুলো এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে সমালোচনা করছে।

১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া সু চি ছিলেন মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের কন্যা। বাবার হত্যার সময় তিনি ছিলেন শিশু। জীবনের প্রায় দুই দশক তিনি আটকাবস্থায় কাটিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ইয়াঙ্গুনের ইনয়া লেকের পাশে তার পারিবারিক বাসভবনে গৃহবন্দি ছিলেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর তিনি ব্রিটিশ গবেষক মাইকেল আরিসকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান জন্মের পর ১৯৮৮ সালে মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে সু চি মিয়ানমারে ফেরেন। সেই সময়ই তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিয়ে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি গঠন করেন এবং ধীরে ধীরে দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হয়ে ওঠেন।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status