|
তাড়াশে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ
|
![]() তাড়াশে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দোবিলা গ্রামের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণ শৈলী, এর রং ও লাইটিং দূর থেকেই কাছে টানছে লোকজনকে। নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থীরা। অসাধারণ লাইটিং ও মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীরা। দিনের আলো, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্ত ও রাতের অন্ধকার, তিন সময়ে ভিন্নরকম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ। তবে সন্ধ্যার পর মসজিদের লাইট জ্বালানো হলে ফুটে ওঠে এর দূতি ছড়ানো সৌন্দর্য। মসজিদটির ভিতর সেন্সর লাগানোর কারণে দরজা খুলে মসজিদে প্রবেশ করলেই অটো জলে ওঠে লাইট এবং এসির শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ ৭ বছর পড়ে ২০২৩ সালের ১৯ মে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির ফলক উন্মোচন এবং ফিতা কেটে মসজিদ উদ্বোধন করা হয়। চাটমোহর উপজেলা এলাকা থেকে মসজিদটি দেখতে আসা রাকিবুল হাসান বলেন, এরকম সুন্দর মসজিদ আমি কখনও দেখিনি। আমার মনে হয় পুরো সিরাজগঞ্জ জেলায় এরকম সুন্দর দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নেই। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। গুরদাসপুর এলাকা থেকে আসা রায়হান আহমেদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ মসজিদটি দেখে চোখ আটকে যায়। মোটরসাইকেল এক মুহূর্তের জন্য দেখেছিলাম। এখন সময় নিয়ে দেখতে এসেছি। এই মসজিদের মুসল্লি মো. সাগর হোসেন বলেন, আমাদের পুরনো যে মসজিদটি ছিল ওইখানে জায়গা কম থাকার কারণে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারেনি। এখন এই মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারছি এবং দূর-দূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা এখানে এসে নামাজ পড়ছে। দোবিলা গ্রামের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো ফজলু রহমান বলেন, আল্লাহর ইচ্ছে ও গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আল্লাহর ঘর মসজিদ নানন্দিক এবং দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করতে পেরেছি। পুরাতন মসজিদটিতে মুসল্লিদের জায়গা না হওয়ায় আমার এবং গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা। সেই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ২০১৪ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করি। করোনাকালীন সময়ে কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন মসজিদটি উদ্বোধন করতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি আরো বলেন, শুধু মসজিদ নির্মাণ করলেই হবে না আমাদের মসজিদের নান্দনিকতা বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। মসজিদে নিয়মিত মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামের সবাইকে মসজিদমুখী হতে হবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
