|
সমকামী রফিকুল হত্যার রহস্য উদঘাটিত, আটক অন্য ২ সমকামী
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() সমকামী রফিকুল হত্যার রহস্য উদঘাটিত, আটক অন্য ২ সমকামী মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন চান্দরা এলাকা থেকে অভিযুক্ত নয়ন (২১) ও আলামিনকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। তারা ওই এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করতেন। নিহত রফিকুল ইসলাম আমবাগের আতাউর মার্কেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারসহ থাকতেন। তবে তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। তিনি গত ৬-৭ বছর ধরে গাজীপুর ফিডস লিমিটেডে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, ২০ জুলাই দুপুরে বন্ধ দরজার তালা ভেঙে তার রক্তাক্ত লাশ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। এ সময় ঘরের ভেতরে জিনিসপত্র ছড়ানো এবং আলমারির ড্রয়ার খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। পিবিআই জানায়, ঘটনার আগের রাতে ভাড়া করা দুই তরুণ নয়ন ও আল আমিনকে ডেকে রফিকুল ইসলাম তাদের সাথে সমকামিতার সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্ক শেষে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে উল্টো মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখান রফিকুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিকুলের গলা ও উরুতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন তারা। আরো জানায়, পরে হত্যাকারীরা ঘর থেকে ৭৭০ টাকা, মানিব্যাগে থাকা ১ হাজার টাকা ও মোবাইলফোন নিয়ে পালিয়ে যান। পালানোর সময় হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও মোবাইল কড্ডা সেতু এলাকায় ফেলে দেন। ঘটনায় রফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল আহম্মেদ কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই গাজীপুর জেলা। পিবিআই পুলিশ সুপার মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ হত্যা পূর্বপরিকল্পিত ও নৃশংস। সমকামিতার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ব্ল্যাকমেইল ও সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিশোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পিবিআই যথাযথ পদ্ধতিতে আলামত ও স্বীকারোক্তি সংগ্রহ করেছে। মামলার তদন্ত এখনো চলমান।’ এদিকে ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একইসাথে সমকামী সম্পর্কের অপব্যবহার ও সহিংসতার দৃষ্টান্ত হিসেবে এটি একটি ভয়াবহ সামাজিক সঙ্কেত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
