|
মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানকে পুতিনের কদর, রহস্য কি?
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানকে পুতিনের কদর, রহস্য কি? ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। এ সময় রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন মিন অং হ্লেইং। গতকাল মঙ্গলবার মস্কো সফরের সময় এই উপহার প্রদান করেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, হাতি উপহার দেওয়া রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার একটি প্রতীকী প্রয়াস। অনেকে একে ‘হাতি কূটনীতি’ বলেও উল্লেখ করছেন। ক্রেমলিনের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ১০০ মেগাওয়াটের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্র নির্মাণ শেষে পরিচালনার দায়িত্বও রোসাটমের হাতে থাকবে। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের ২৫তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তির রজতজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। মিয়ানমার ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে।’ পুতিন আরও জানান, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতি উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন ‘আপনার এই বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। হাতিগুলো ইতোমধ্যেই মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দুই প্রধান মিত্র হচ্ছে চীন ও রাশিয়া। ২০২১ সালে জেনারেল মিন অং হ্লেইং সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মস্কো প্রকাশ্যে জান্তা সরকারকে সমর্থন জানায়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য অন্যতম প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। সামরিক সহায়তার পাশাপাশি কৌশলগত সহযোগিতাও বাড়িয়েছে দুই দেশ। আগামী ৯ মে রাশিয়ার জাতীয় দিবস উপলক্ষে মস্কোতে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এই কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। জেনারেল মিন অং হ্লেইং আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
