ড্যাফোডিলে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে ‘ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম স্প্রিং ২০২৫’ উদযাপন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
নতুন সেমিস্টারের প্রায় ৩ হাজার ৭০০ নবীন শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে বরণ করে নিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। আলোচনা সভা, পরিচিতি পর্ব, খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ ‘ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম স্প্রিং ২০২৫’ উদযাপন করে নবীন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সাভারের বিরুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও রফিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, এপিক গ্রুপের হেড অব ইন্টারনাল অডিট হাসান ইসলাম, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্জন এবং সফলতাগুলো ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নবীন এই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একাডেমিক এবং জীবনমুখী দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তাছাড়া একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের সুযোগ-সুবিধাগুলোকে নিজের ভবিষ্যত বিনির্মাণের জন্য কাজে লাগাতে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান তার ভিডিও বার্তায় বলেন, নবীনদের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। তারা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে উদ্ভাবনী এবং নতুন অর্জনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আন্তর্জাতিকভাবে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করি। তবে সবশেষে নিজেকে একজন মানবিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে হবে। এজন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে প্রস্তুত। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনে ছোট ছোট জিনিসগুলো থেকে শেখার আছে। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, পরিশ্রমের কারণে অনেক কম মেধাবীরাও জীবনে সফলতার দেখা পায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই পরিশ্রম আর মেধাকে সমন্বয় করে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।’ এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সফল শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় হয় নবীনদের। পাশাপাশি ২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, বিতর্ক, নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জ সহ নানান অঙ্গণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিজয়ী দলকে পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে। নবীনদের বিচরণে এদিন পুরো ক্যাম্পাস ছিল প্রাণচঞ্চল। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |