নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কারও দাবি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেয়ার। আবার অনেকে বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেয়ার কথা।
বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন কথা বলেছেন ড. ইউনূস। সাক্ষাৎকারে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা নির্বাচন দিতে চাই এবং এটাও চাই যে একটি সুষ্ঠু্ ও সুন্দর নির্বাচন হোক।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চাই একটি নির্দিষ্ট দল বা যে দলই আসুক, তারা তাদের বিজয় উদ্যাপন করুক। আমরা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই। তাই এটি (নির্বাচন আয়োজনের সময়) যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।
তবে এখনই নির্বাচনের দিন-তারিখ জানানো সম্ভব নয় বলেও ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন ড. ইউনূস। এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশ্নে তিনি বলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া ঢাকার কোনো বিকল্প নেই। নিজেদের প্রয়োজনেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্বোত্তম সম্পর্ক থাকতে হবে।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। প্রতিবেদন মতে, নয়াদিল্লি এখনও হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেয়নি। যদিও তিনি একটি ‘নিরাপদ জায়গায়’ রয়েছেন বলে ধরাণা করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরমধ্যেই শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেছে। এদিকে তাকে দেশে ফিরিয়ে (প্রত্যর্পণ) এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জোরালো হচ্ছে।
তবে সাবেক কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদরা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ঢাকা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়ার আবেদন করলেও, তা প্রত্যাখ্যান করতে পারে নয়াদিল্লি।
ডিডব্লিউ’র সঙ্গে আলাপকালে পানি বণ্টন এবং আন্তঃসীমান্ত চলাচলের মতো অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সমস্যার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন ড. ইউনূস। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য তার প্রশাসন নয়াদিল্লির সঙ্গে একসাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে। আমরা সেই পথ অনুসরণ করব এবং শান্তিপূর্ণভাবে এর সমাধান করব।