|
খাগড়াছড়িতে সাদিক কায়েমের পথসভা অনুষ্ঠিত
মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি
|
![]() খাগড়াছড়িতে সাদিক কায়েমের পথসভা অনুষ্ঠিত নয়াবাজার চেকপোস্ট থেকে মহামুনি পর্যন্ত দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন ফুলের তোড়া হাতে তাকে স্বাগত জানান। অনেকেই শ্লোগান দেন, কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করতে করতে এগিয়ে যান। মহামুনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাদিক কায়েমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান— উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র বায়তুল মাল সম্পাদক মোহাম্মদ নূর হোসেন, সদর ইউনিটের দায়িত্বশীল মো. জাকির হোসেন শান্ত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খোকন, এছাড়া আরও শতাধিক কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত পথসভায় সাদিক কায়েম বলেন, “এই দেশের পিছিয়ে থাকার মূল কারণ হলো—সৎ মানুষকে নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখা। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে সৎ ও ন্যায় প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার ছাড়া বিকল্প নেই। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়নের জন্য দরকার যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব।” তিনি আরও বলেন, “মনে রাখবেন—জালিম যত শক্তিশালী হোক, তার পতন অনিবার্য। এই দেশে আর ফ্যাসিবাদ চলতে দেওয়া হবে না। শান্তি, অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানুষের ঐক্যই বড় শক্তি।” তার বক্তব্যে স্থানীয় নানা ইস্যু—সুশাসন, দুর্নীতি, শিক্ষার বৈষম্য, নির্বাচনী পরিবেশ ও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা—এসব বিষয় উঠে আসে। তার সফরকে ঘিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেলেও মাঠপর্যায়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কিছুটা সীমিত ছিল। পথসভা শেষ হওয়ার পর তার নেতৃত্বে একটি সংক্ষিপ্ত র্যালি মহামুনি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে তিনি জালিয়াপাড়া, গুইমারা ও মাটিরাঙা এলাকায় আরও কয়েক দফা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। খাগড়াছড়ি সদরের পাশাপাশি গুইমারা, মাটিরাঙা, জালিয়াপাড়ায় তার আগমন উপলক্ষে স্থানীয় কর্মীরা ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তবে বেশির ভাগ স্থানে উপস্থিতি ছিল দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম থাকায় অনেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। দিনব্যাপী সংবর্ধনা ও কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মতবিনিময় করেন এবং আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
