সাতক্ষীরায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের দ্বারা এক প্রবাসীর ভেকু (এক্সকাভেটর) গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীরা তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করার পাশপাশি তাকে জীবননাশের হুমকিও দিচ্ছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায় তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে এবিষয়ে ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানান কালিগঞ্জ উপজেলার গণপতি গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে প্রবাসী মো. আব্দুস সবুর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন সৌদি আরবের মক্কা প্রবাসী। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি মক্কায় প্রবাস জীবন যাপন করেছি। পরিশ্রম করে আমি একটি ভেকু (এক্সকাভেটর) গাড়ি ক্রয় করি যার (মডেল:- (ঞুঢ়ব ঊীপধাধঃড়ৎ:-গড়ফবষ:-৩১১ঈট, ঝবৎরধষ হড়:-ঈঅঞ০৩১১ঈঐঈখক০৩২৫৯, ঈড়ঁহঃৎু ড়ভ ঙৎরমরহ:-গঅউঊ ওঘ ঔঅচঅঘ,) মুল্য ৩৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই ভেকু মেশিনটি পরিচালনার মাধ্যামে আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করি। এই যানটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ, পরিশ্রমের ঘাম, জীবনের লড়াইয়ের ফসল।
আব্দুস সবুর আরো বলেন, আমার ভেকু মেশিনটি ৮ মাসের চুক্তিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের তুকলিফুল মিয়াদ ওরফে মিয়ারাজ এর কাছে ভাড়া দেই। কিন্তু জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভাড়া গ্রহনকারী মিয়ারাজ আমার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়। পরে খোঁজাখুজি করে শ্যামনগরের কাঠালবাড়িয়া নামক স্থানে ভেকু মেশিনটির সন্ধান মেলে। এসময় ভেকুটি ফেরত নেওয়ার জন্য আমি সেখানে লোভেট পাঠাই। কিন্তু ভেকুটি লোভেটে তোলার পর কালিগঞ্জের সাতালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস কারিগরের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর কারিগর মেয়ারাজের যোগসাজোসে ভেকুটি অন্যায় ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার ড্রাইভারকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভেকুটি ছিনতাই করে নেয়। পরে সেটি নিয়ে সাতালিয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে রেখে দেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা আব্দুর রউফের ভাইয়ের ছেলে হওয়ার সুবাদে স্থানীয় প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করে, তার চাচার মাধ্যমে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিজানুর রহমানকে বারংবার ফোন করে আমার উপর জাহাঙ্গীর কর্তৃক দাবীকৃত চাঁদার ৯ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পদস্থ কর্মকর্তার ফোন পেয়ে অফিসার ইনচার্জ আমার কোন কথা শুনতে নারাজ। এমনকি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তাও করে। ভেকুটি ফেরত দেওয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জ এর রুমে বসলে তারা ভেকুটি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং জাহাঙ্গীর অফিসার ইনচার্র্জের সামনে একইভাবে আমার কাছে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় সেখানে সীমান্ত প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এঘটনার পর অফিসার ইনচার্জ কালিগঞ্জের পরামর্শ ও সহযোগিতায় জাহাঙ্গীর ও মিয়ারাজ উভয়ে মিলে গত ১০ নভেম্বর জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে থেকে ভেকুটি লাপাত্তা করিয়ে দিয়েছে। আজও পর্যন্ত আমি আমি ভেকুটির কোন সন্ধান পাচ্ছিনা ।
তিনি প্রবাস জীবনে নিজের পরিশ্রমের টাকায় কেনা ভেকু মেশিনটি ফেরত পাওয়ার জন্য স্থনীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন।