|
শিশু সেপারেশন অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগলে করণীয়
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() শিশু সেপারেশন অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগলে করণীয় ছয় মাস থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা মনে করে মা আছে মানেই তারা নিরাপদ। তাই মা চোখের আড়াল হলেই উদ্বিগ্ন হয়। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা কমে আসে। কিন্তু যখন এই ভয় বয়সের তুলনায় অনেক বেশি তীব্র হয়, দীর্ঘ সময় ধরে থাকে ও শিশুর স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে মেশা বা একা ঘুমানোর মতো ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে, তখন সেটি স্বাভাবিক নয়। লক্ষণগুলো কেমন, কারণ কী মা-বাবা কোথাও গেলে বা আলাদা হলে শিশুর তীব্র কান্না শুরু হয়। চিৎকার, শ্বাসকষ্ট বা বমি পর্যন্ত হতে পারে। স্কুলে যেতে ভয় করে, যেতে চায় না। একা ঘুমাতে চায় না। প্রিয়জনের কিছু ‘খারাপ’ হবে—এই ভয় থেকে বারবার আশ্বাস চাওয়া। পেটব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গও থাকে। এ সমস্যার একটি কারণ জিনগত। পরিবারের কারও উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলে শিশুর ঝুঁকি বেশি। শিশুর হাসপাতালে ভর্তি থাকা, প্রিয়জনের মৃত্যু বা হঠাৎ স্কুল পরিবর্তনের মতো অভিজ্ঞতা বা ট্রমা থেকে হতে পারে। অভিভাবকের আচরণ যেমন—অতিরিক্ত সুরক্ষা, সন্তানকে একা কিছু করতে না দেওয়া বা ভয় দেখানো ইত্যাদির প্রভাবেও হয়ে থাকে। এ ছাড়া পারিবারিক অশান্তি, বিচ্ছেদ বা ভাই-বোন হওয়ায় প্রভাব ফেলে। চিকিৎসা এ ক্ষেত্রে বিহেভিয়ার থেরাপি সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি। এর মাধ্যমে শিশু যাতে ধীরে ধীরে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি সামলাতে শিখতে পারে ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে, তা শেখানো হয়। প্রথমে শিশুর ভয় ও এড়িয়ে চলার ধরন চিহ্নিত করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে অল্প সময়ের জন্য মায়ের থেকে দূরে থাকা, পরিচিত পরিবেশে বা ভরসার ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে অভ্যস্ত হওয়া শেখাতে হবে। শিশুকে শেখানো হয় যে মা-বাবা না থাকলেও সে নিরাপদ। ইতিবাচক উৎসাহ যা শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সমস্যা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু নিরাপদ ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। অভিভাবকের করণীয় শিশুর ভয়কে ছোট করে দেখবেন না আবার প্রশ্রয়ও দেবেন না। বিদায় জানানোর সময় বারবার ফিরে তাকাবেন না। নিজেও অস্থির হবেন না। শিশুর ঘুম, খাওয়া, স্কুলে যাওয়া, খেলা—সব সময়মতো করতে হবে। কিছু সময়ের জন্য বিদায় নিন যেমন প্রথমে ৫ মিনিট, পরে ১৫ মিনিট মাকে ছাড়া থাকতে দেওয়া। নিজের উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণে রাখুন; কারণ, শিশু খুব দ্রুত তা অনুকরণ করে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
