সাংবাদিক ও গীতিকার সায়ীদ আবদুল মালিকের ৫০তম জন্মদিন আজ
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Saturday, 15 November, 2025, 12:20 PM
সাংবাদিক ও গীতিকার সায়ীদ আবদুল মালিকের ৫০তম জন্মদিন আজ
আজ ১৫ নভেম্বর সাংবাদিক ও গীতিকার সায়ীদ আবদুল মালিকের (মোহাম্মদ আবু সায়ীদ) ৫০তম জন্মদিন। এ উপলে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সহকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক নয়া দিগন্তে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বারাইশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা আবদুল মালেক (আবুল হাশেম মেম্বার) ও মাতা উলফাতুন নিসার নয় সন্তানের মধ্যে ষষ্ঠ সন্তান সায়ীদ শৈশব থেকেই সাহিত্য ও সংগীতে আগ্রহী ছিলেন। রাজধানীতে পড়াশোনার সময় থেকেই লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯৫ সালে সুকন্যা ম্যাগাজিনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তার প্রথম লেখা। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সাংবাদিকতা তার পেশা ও নেশা, ১৯৯৮ সালে দৈনিক ইনকিলাবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে শুরু করে তিনি ক্রমান্বয়ে দেশবাংলা, আমাদের সময়, দৈনিক বাংলা ও নয়া দিগন্তে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি গীতিকার হিসেবেও সায়ীদ আবদুল মালিক পরিচিত নাম। বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত এই গীতিকারের লেখা গান গেয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্পীরা, বাপ্পা মজুমদার, ন্যান্সি, আরমান আলিফ, প্রতীক হাসান, নোলক বাবু, রাজীব, কর্ণিয়া, লুৎফর হাসানসহ অনেকে। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাপ্পা মজুমদারের কণ্ঠে ‘প্রাণের বর্ণমালা’, সাংবাদিকদের নিয়ে লেখা ‘খবরের ফেরিওয়ালা’, নোলক বাবুর ‘পোড়া লাশের সারি’ ও শিশুশিল্পী সিফাত রিজওয়ান নাফির ‘আমার মা’। এছাড়া ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলে লেখা ‘ক্রিকেটের উন্মাদনায়’ গানটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সংগীত ও সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃতি অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), জাতীয় মানবাধিকার স্বর্ণপদক (২০০৯), গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ সম্মাননা (২০১২), হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড (২০১৪) এবং ডিআরইউ লেখক সম্মাননা (২০১৯ ও ’২১)। বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য এই সাংবাদিক জাতীয় প্রেসকাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২০০৬ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিলকিস আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন কন্যা, ইসপিতা জাহান প্রভা, রাদিতা জাহান নুভা ও সানদিহা জাহান দিবা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই সাংবাদিক ও গীতিকার নিজেকে এখনো কলমের সৈনিক হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। নিজের জন্মদিনে তিনি বলেন, আমি চাই, আমার লেখা ও গান মানুষকে ভালোবাসা আর দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করুক, এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’