|
উখিয়া-টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও সরঞ্জাম জব্দ: আটক ২
রফিক মাহমুদ, উখিয়া
|
![]() উখিয়া-টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও সরঞ্জাম জব্দ: আটক ২ উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবির) পৃথক তিনটি অভিযানে মোট ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বিজিবির পক্ষ থেকে পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজিবি জানান, ১৩ অক্টোবর রাতে পালংখালী বিওপি’র টহলদল মিয়ানমার সীমান্তের কাটাখাল এলাকায় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয় এবং ১৪ অক্টোবর রাতে হ্নীলা বিওপি’র রাডারে দুইজন অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লে বিজিবি জালিয়াপাড়া সুইচ গেইট এলাকায় ফাঁদ পেতে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এর পর ১৬ অক্টোবর রাতে উখিয়ার বালুখালী বিওপি’র টহলদল রহমতের বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। উখিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “পলাতক চোরাকারবারীদের শনাক্তে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদক প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।” অন্যদিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারির পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত সাবরাং মন্ডলপাড়ায় এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালায়। অভিযানে ১৯,২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৩০ গ্রাম ইয়াবা পাউডার, নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ২টি ওয়াকিটকি সেট, ১১টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি সিসি ক্যামেরা, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেলের পরিবর্তিত তেলের ট্যাংকসহ মাদক বেচাকেনার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ সময় আইয়ুব আলী (৩৭) ও জুবাইরের স্ত্রী ফাইজা আক্তার (১৯) গ্রেপ্তার হন। তবে মূল হোতা মো. জুবাইর (৪০) পালিয়ে যান। টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “যত শক্তিশালী চক্রই হোক না কেন, মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবি অঙ্গীকারবদ্ধ। সীমান্ত অঞ্চলে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের অভিযান আরও জোরদার হবে।” বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পলাতক জুবাইরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায়ও পূর্বে মাদক মামলা রয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামত বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট মাদকচক্রের নেটওয়ার্ক ধ্বংসে আরও অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
