|
সরকারি চাকরি ছেড়ে জনসেবায় বাগমারার অধ্যাপক কামাল হোসেন
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() সরকারি চাকরি ছেড়ে জনসেবায় বাগমারার অধ্যাপক কামাল হোসেন বাগমারায় বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অধ্যাপক কামাল হোসেন। উপজেলা জুড়ে তার গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে দলমত নির্বিশেষে মানুষের অংশগ্রহণ। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের বার্তা তিনি নিজে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, সততা, ত্যাগ ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য প্রার্থী। রাজনীতিতে অধ্যাপক কামাল হোসেনের যাত্রা শুরু কিশোর বয়সে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। ১৯৯৪ সালে ভবানীগঞ্জ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিলেন ছাত্রদলের নিবেদিত কর্মী। পরবর্তীতে তিনি যুবদলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন—২০১০ সালে বাগমারা উপজেলা যুবদলের সভাপতি, ২০১৬ সালে রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং ২০১৭ সালে জেলা বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে তাকে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়। রাজনীতি ছাড়াও শিক্ষা ও সমাজসেবায় রয়েছে তার সফলতার গল্প। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে ভবানীগঞ্জ কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার পর তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। তার ভাষায়, “জনগণের সেবা এবং বিএনপির নীতিতে কাজ করাই এখন আমার জীবনের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিকবার মামলা ও কারাবাসের শিকার হলেও জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দলের অনেক নেতা যখন বিতর্কে জড়ান, তখন তিনি মাঠে থেকে দলের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং স্থানীয়ভাবে বিএনপিকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করান। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় তার প্রচারণা আরও বেগবান হয়েছে। বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় তিনি নিয়মিত গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করছেন। জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে। বাগমারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান বলেন, কামাল হোসেন সবসময় সৎ, নির্লোভ এবং দলের প্রতি নিবেদিত। তার মধ্যে তারেক রহমানের ঘোষিত যোগ্য প্রার্থীর সব গুণ বিদ্যমান। একই মত প্রকাশ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, কামাল হোসেন ত্যাগী, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এবং কর্মীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মনোনয়ন পেলে বাগমারার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন তিনি। অধ্যাপক কামাল হোসেনের দাদার পিতা আলহাজ কছিম উদ্দিন ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক; তার দানকৃত জমিতে উপজেলা কমপ্লেক্স, বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরিবারিক ঐতিহ্য অনুসরণ করে কামাল হোসেনও সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠানে বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি তিনি নিয়মিত মসজিদ-মাদ্রাসা ও অনাথ আশ্রমে দান করেন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। স্থানীয়ভাবে তিনি মানবিক, সহজ-সরল ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার উন্নয়ন পরিকল্পনা ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাকে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীর তুলনায় এগিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ এবং পথসভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের আহ্বান জানান। এ সময় উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় জনতা আশা প্রকাশ করেছেন, বিএনপির নির্বাচনী বোর্ড এবার অধ্যাপক কামাল হোসেনের মতো পরিচ্ছন্ন ইমেজ, শিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করবে, যিনি বাগমারার উন্নয়ন ও জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
