রামগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক আটক
রায়হানুর রহমান, রামগঞ্জ
|
![]() রামগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক আটক শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এর আগে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জুলেখার স্বামী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারের মিজান ক্রোকারিজের মালিক ও সেনা বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। আটক সোহেল রানা রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের খামার বাড়ির মোজাম্মেল হোসেন বাহারের ছেলে। সোহেল রানা খুনের শিকার পরিবারের আত্মীয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রামগঞ্জ সার্কেল) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান ঘটনাটি অত্যন্ত নৃশংস। আমরা ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তে অগ্রগতি হলে বিস্তারিত জানানো হবে। স্থানীয় সূত্র ও নিহত পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে বা পর উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে জুলেখা বেগম ও তার মেয়ে মীমকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। পরে ঘর থেকে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধকোটি টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয় দূর্বৃত্তরা । হত্যাকাণ্ডের সময় বাড়িতে মা-মেয়ে দুজনই একা ছিলেন। রাতে জুলেখা বেগমের ছেলে ফরহাদ হোসেন রাব্বি বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের মেঝেতে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধা সাড়ে সাতটায় স্থানীয় দারুল উলূম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাদের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নৃশংস এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |