কাগজ কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন
|
![]() কাগজ কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থানীয়রা জানান, সাধারনত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারীভাবে একটি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকার কথা। যেখানে একজন করে মেডিকেল অফিসার ও স্যাকমো থাকবেন। কিন্তু নাচোল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে এমন কোনো কেন্দ্র না থাকায় হাজারো মানুষ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসার জন্য বারবার নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত করতে হয়। এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে অপরদিকে আর্থিক চাপও বাড়ছে গরিব মানুষের। তারা মনে করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাদের দূর্ভোগের বিষয়ে উদাসীন। এতে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নগুলোয় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি সৃষ্টি হচ্ছে গভীর অনাস্থার। আর তাই খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে নাচোলের ৪টি ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান তারা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নাচোল উপজেলার কসবা, ফতেপুর ও নেজামপুর ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে শুধু কাগজে-কলমে। সেখানে কোনো ভৌত অবকাঠামো নেই। এসব প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অফিসার ও স্যাকমো দিয়ে মোট মুঞ্জরী পদের সংখ্যা ছয়টি। কিন্তু ফতেপুর ও নেজামপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো জনবল না থাকলেও শুধুমাত্র কসবা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওইসব পদে ছয়জনের বিপরীতে রয়েছেন দুইজন। আর তাই স্থাপনা না থাকায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে সেখানেই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নাচোল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারী কাগজে উপজেলার নেজামপুর, ফতেপুর ও কসবা ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন অবকাঠামো নির্মাণ হয়নি। এই তিনটি সাবসেন্টারে মুঞ্জরী পদের সংখ্যা দুইটি করে মোট ছয়টি থাললেও নেজামপুর ও ফতেপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো জনবল নেই। শুধুমাত্রা কসবা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছেন দুইজন। তারা এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেন। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন বলেন, কাগজে-কলমে নাচোল উপজেলায় তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। কিন্তু এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো অবকাঠামো নেই। এর মধ্যে দুইটি জনবল শূন্য। আরেকটিতে থাকলেও তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ওইসব জায়গায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। আগামীতে ওই ইউনিয়নগুলোতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাত বিষয়ে বেশ তৎপর। আশা করছি দ্রæতই সংকট নিরসন হবে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |