হাটহাজারীর মদুনাঘাটে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী দলীয় কেউ নন, দাবি বিএনপির
বিধান বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
|
![]() হাটহাজারীর মদুনাঘাটে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী দলীয় কেউ নন, দাবি বিএনপির বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ৭ অক্টোবর হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গুলিতে আব্দুল হাকিম নামে একজন খুন হয়েছেন। এ ঘটনা দেশের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির বড় ধরনের নজির। এ ঘটনা ঐ এলাকার জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও ভীতির সঞ্চার করেছে৷ বর্তমানে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। চারিদিকে অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা ও হতাশা বিরাজমান। যা, এই বর্তমান সরকারের কাছ থেকে মানুষ আশা করে না। জন প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দুষ্কৃতিকারীরা এ ধরনের কাজে মেতে ওঠেছে৷ সমাজের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। এ কারণে দেশের কোথাও এখনো পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। জনগণ এ অরাজক পরিস্থিতির দ্রুত অবসান দেখতে চাই৷ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই সহিংস ঘটনার সাথে রাজনীতি বা বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নিহত ব্যক্তি ও দুষ্কৃতিকারীদের কেউই বিএনপির নেতাকর্মী নয়। কয়েকটি গণমাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএনপি রাউজানের এই সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে৷ একইসাথে আধিপত্যকামী দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এদিকে আব্দুল হাকিমকে অস্বীকার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, মৃত্যুর পর যে দল তার কর্মীর লাশটি বহন করার হিম্মত রাখে না। সে দল জনগণের দল নয়৷ হতে পারে বৃহত্তর দল, হতে পারে বিভিন্ন দলের দলছুট মানুষের একটি সমাবেশ, এর বেশি কিছু নয়। শুধু তাই নয়, নিহত আব্দুল হাকিমের পূরণ করা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদের একটি ফরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে। ৮০৮৮০১ ক্রমিক নম্বরের ওই ফরমে লেখা রয়েছে, কেন্দ্রীয় দপ্তর প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফরম৷ আমি মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম, পিতা মো. আলী মদন, ১৪ নম্বর বাগোয়ান ইউনিয়ন৷ ওই ফরমে আরও বেশকিছু তথ্য রয়েছে৷ ফরমটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছে রাউজান উপজেলা বিএনপির অনেকেই লিখছেন, রাউজানের উত্তর ও দক্ষিণাংশে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর উপস্থিতিতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যতগুলো সভা-সমাবেশ হয়েছে সেসবের প্রতিটি সভার মঞ্চে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন৷ যদিও তার দলীয় পদ-পদবী নেই। তবুও তিনি দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর বাগোয়ান ইউনিয়নে বিএনপির সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠানে সর্বপ্রথম ফরম পূরণ করে সদস্যপদ লাভ করেন। অথচ মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষণা দিলো তিনি বিএনপির কেউ নন! তারা লিখেন, আব্দুল হাকিম চৌধুরীর মত বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছে যাদের কোন পদপদবী নেই। অনেকের সাবেক পদ-পদবী থাকলেও বর্তমানে দলীয় কোন পদ নেই। শুধু বিএনপি নয়, যুবদল, ছাত্রদলের অনেকেই আছেন যাদের পদ পদবী নেই। তাদের প্রশ্ন এ ধরণের নেতাকর্মীদেরও কি অস্বীকার করা হবে ভবিষ্যতে? |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |