৫৪ বছর পরে ঢাকসু, জাকসুতে স্বাধীনতা বিরোধীদের জয়লাভের নেপথ্যে!
আ.ফ.ম জাকারিয়া দিপু
|
![]() ৫৪ বছর পরে ঢাকসু, জাকসুতে স্বাধীনতা বিরোধীদের জয়লাভের নেপথ্যে! এই ৫৪ বছরে যেসব দল কর্তৃক দেশ পরিচালিত হয়েছে তারা কি জাতিকে ভালো কিছু উপহার দিতে পেরেছে ? আমার মতে কিছুই করতে পারে নি । বিরাট অংকের এক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে । দেশের রাজনীতিবিদদের চরম অবহেলা আর দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য দেশ এখন দেউলিয়ার পথে । জানিনা কোন অভাগা দেশে জন্মেছি !!! সামনে আমাদের জন্য হয়ত আরো কঠিন সময় আসতেছে । এরই মধ্যে দেশে বিগত ৫৪ বছরে অনেক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে । ঘুষ বানিজ্য বন্ধ নেই , দুর্নীতি চলছেই , টাকা পাচার রোধ করতে পারছেনা । খুন ,গুম চুরি ডাকাতি ছিনতাই রাহাজানি একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে পরিনত হয়েছে । এদের মধ্যে দলীয় নেতা কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা সবচেয়ে বেশী । দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলীয় কোন্দল ও রাজনৈতিক হানাহানির জন্য এবং দেশের অস্থিতিশীল অবস্থার জন্য অনেকাংশেই দায়ী । এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যে একটি অনুসন্ধানী মনোভাব তৈরী হয়েছে এই পরিস্থিতির জন্য কারা দায়ী এবং কারা এর মধ্যে নেই ? এই বিশ্লেষনে এবং মানুষের বিবেচনায় মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে একটি মাত্র দল যারা দেশের জন্মলগ্ন থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ছিলো । যারা দেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে পরিচিত এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের নাম ছাত্র শিবির । দেশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে ৩০ বছর ধরে বড় রাজনৈতিক দলগুলো দখল বানিজ্যের সাথে নেই । যত ট্রাক স্ট্যান্ড টেম্পু স্ট্যান্ড,বালু মহাল, ফ্যাক্টরী এলাকার চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব অপরাধের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মীরা জাড়িত । সেখানে জামায়াতের নেতা কর্মীদের খুঁজে পাবেন না বা তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই বললেই চলে । এই রকম অপরাধে তাদের খুঁজে পাবেন না । মানুষ দেখছে কারা কারা এই রকম রাহাজানিতে বা অপরাধে জড়িত তাদের কে মানুষ চিনে । কারা এই অপরাধের সাথে জড়িত নেই তাদেরকে ও জনগন চেনে । সেই বিবেচনায় এবার ঢাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্র ছাত্রীরা অকাতরে ছাত্র শিবির কে ভোট দিতে কুন্ঠাবোধ করিনি। সেজন্য দেশের অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগলোর সম্ভব্য ইলেকশনের ফলাফলে বিরাট তাৎপর্য প্রতীক্ষা করছে। দেশের মানুষ জানে । এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে জাতীয় সংসদসহ আগামী সব ইলেকশনে দেশের মানুষ নিরবে ভোট বিপ্লব করবে। এবং ফলাফল এমনই আসবে । বিএনপি যদি নিজেদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান না চালায় বা রিশাবল না করে তবে সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। বিএনপির উচিৎ সুন্দর একটি রাজনৈতিক ফ্ল্যাটফরম তৈরী করা, যার মাধ্যমে দেশের মানুষ বুঝতে পারবে এই দলের কর্মকান্ড আমাদের জন্য ক্ষতি হবনা। শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ভালো মানুষ গুলো নেতৃত্বে ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সামনের সারিতে স্হান দিতে হবে । যাদের দেখে মানুষ আস্হাশীল হতে পারে। উল্লখ্য, ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শিবিরে ছিলো বলে এতোদিন তোকমা লাগানো হয়েছিলো, আজ তারা কর্ম, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে দেশের শাসন ব্যবস্থায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা সাজিয়ে মুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। এখন আর দেশের মানুষ ১৯৭১ ইং সালে ঘটে যাওয়া তাদের কৃতকর্মের ব্যপারে চিন্তা করেনা। শুধু যোগ্য নেতৃত্ব ও ভাল কাজের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। এই বিবেচনায় জনগন তাদের সেক্রিফাইজ করতে দ্বিধাবোধ করেনি । আমার মনেকরি বড় দলগুলোকে জামায়াতের কাজ ও ইতিবাচক কর্মসূচির বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে । তাই আসুন সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা তৈরী করার জন্য দেশের প্রয়োজনে সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় স্বচ্ছ একটি রাজনৈতিক ফ্ল্যাটফরম তৈরী করতে সবাই কে এগিয়ে আসাটা এখন সময়ের দাবী।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |