|
মাছ লুট ও চাঁদাবাজির দায়ে অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রদল নেতা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি!
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() মাছ লুট ও চাঁদাবাজির দায়ে অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রদল নেতা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি! রাজশাহীর বাগমারায় পুকুরের মাছ লুট, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ থাকায় এবং এসবের কারণে দলীয় পদ থেকেও অব্যাহতি পাওয়ার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মহব্বত হোসেনকে মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মহব্বত হোসেনকে ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সিদ্ধান্তে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও সম্মানিত ব্যক্তি সুলতান মাহমুদকে সভাপতি করে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয় (স্মারক নং-৪০৩৮)। কিন্তু সুলতান মাহমুদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে সরিয়ে রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিমকে সভাপতি করা হয় (স্মারক নং-৫২৮০)। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিমের স্নাতক পাস নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তার রাজনৈতিক অনুসারী মহব্বত হোসেনকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে স্নাতক বাধ্যতামূলক পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনীত হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকায় অনেক শিক্ষানুরাগী ও যোগ্য ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে উপেক্ষা করে বিতর্কিত অতীতের মহব্বত হোসেনকে সভাপতি করা হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাবেক ছাত্র ও এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এর ফলে কলেজের শিক্ষা পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নরুল হুদা বলেন, অনেকটা বিরক্তির সুরে বলেন রাজনৈতিকভাবে হলেও পরে আইনগতভাবে গভর্নিং বডির কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাগমারায় অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি হলেও শুধু মোহনগঞ্জ কলেজ নিয়ে এত আলোচনা কেন?। এ ঘটনায় কলেজ সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে—শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত অতীতের একজন ব্যক্তিকে সভাপতি করার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
