|
ভূরুঙ্গামারীতে মাল্টার বাম্পার ফলন, বিক্রিতে হতাশ উদ্যোক্তা
এফ কে আশিক, ভূরুঙ্গামারী
|
![]() ভূরুঙ্গামারীতে মাল্টার বাম্পার ফলন, বিক্রিতে হতাশ উদ্যোক্তা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ধরে আছে সবুজ রঙের কাঁচা-পাকা মাল্টা। মাল্টার ভরে নুয়ে পড়েছে ডাল। ২০২২ সালে স্ত্রীর সহগোগিতায় ০.২৪ একর জমিতে বারি-১, বারি-২, বারি-৩, বারি-৪ জাতের মাল্টা বাগানটি গড়ে তুলেছেন এই উদ্যোক্তা। এ বছর প্রচুর ফলনও হয়েছে, কিন্তু বাজারে চাহিদা থাকার পরও পাইকারি বিক্রি করতে না পারায় লোকসানের মুখে পড়ার আশংকা করছেন তিনি। উদ্যোক্তা খোকন বলেন, তিন বছরে মাল্টা বাগানে প্রায় দুই লাখ টাকা খরজ হয়েছে। খুচরা বিক্রি করেছি ২৫ হাজার টাকা মত। এ বছর পুরোপুরি ফলন পেয়েছি, মাল্টা পেঁকে পড়ে যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে ধারনা না থাকায় বিক্রি করতে পারছি না। উপজেলা কৃষ অফিস থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভালো দাম পেলে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দের লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করা যাবে। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা খোকনের স্ত্রী জুরাইরিয়া বলেন, আমার স্বামী কাজ পাগল একজন মানুষ। এইচএসসির পর নিজের পড়াশুনা থেমে গেলেও আমাকে পড়াশুনা শেষ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি চাকরির পাশাপাশি রাত-দিন পরিশ্রম করে মাল্টা বাগনটি গড়ে তুলেছেন। বাগানে আসলে মন ভরে যায়। বিক্রি এবং বাগানের রোগ-বালাই রোধে সরকারি সহযোগিতা পেলে বাগানটি আমাদের আয়ের বড় উৎস হতে পারে। স্থানীয়রা জানান, এ বাগানের মাল্টা গুণগত মান ও স্বাদে অতুলনীয়, উদ্যোক্তা বাগানে কোনো রকম ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না। সরকারি সহযোগিতা পেলে তিনি লাভবান হতে পারতেন। এতে করে অন্যরাও মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হতো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, এবার উপজেলায় ১৫ হেক্টরের বেশি জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। পাথরডুবির মালটা বাগানটি সম্পর্কে আমরা জেনেছি। সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বাজারজাত করণ ও বাগানটির বিষয়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি এবং আমার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দ্রুতই বাগানটি পরিদর্শন করব। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
