|
চলে গেলেন যশোরের কিংবদন্তি সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলা
মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন, যশোর
|
![]() চলে গেলেন যশোরের কিংবদন্তি সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলা প্রবীণ এই সাংবাদিকের জন্ম যশোরে হলেও তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে নওগাঁয়, বড় ভাই আসফউদ্দৌলার তত্ত্বাবধানে। নওগাঁ কেডি স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পরিবারের সঙ্গে ভারতে পাড়ি জমান। শিলিগুড়িতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।রুকুনউদ্দৌলাহর কর্মজীবনের শুরু থেকেই ছিলো সাংবাদিকতায় নিবেদিত। তিনি কখনোই ধর্ম, মানবতা ও সাংবাদিকতা ছাড়া অন্য কোনো পেশায় যুক্ত হননি। দেশের অন্যতম পুরোনো দৈনিক 'সংবাদ'-এর সঙ্গে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুক্ত ছিলেন। 'সংবাদ' পত্রিকায় তার জনপ্রিয় কলাম ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’ পাঠকমহলে ছিলো অত্যন্ত সমাদৃত।সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি চ্যানেল আই, রেডিও টুডে-তেও কাজ করেছেন। এছাড়াও যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক রানার, ও দৈনিক কল্যাণ-এ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি পাক্ষিক যশোরের কাগজ'-এর সম্পাদক ছিলেন সাংবাদিকতা ও লেখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন বহু সম্মাননা, যার মধ্যে রয়েছে আইডিই পুরস্কার, যশোর শিল্পী গোষ্ঠী পদক, জ্ঞানমেলা পদক, এবং সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক, যা তিনি পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে। রুকুনউদ্দৌলাহর লেখা প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’ (শ্রাবণ প্রকাশনী) ‘মুক্তিযুদ্ধে যশোর’ (নবযুগ প্রকাশনী) আমার কৈশোর, আমার মুক্তিযুদ্ধ’ মানুষের ভাবনা, মানুষের কথা’ ছোট ছোট কথা, অচেনা মানুষ’ তার মৃত্যুতে যশোরের সাংবাদিক মহলসহ দেশের বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাংবাদিকতা, মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবোধে উজ্জ্বল এই ব্যক্তিত্বের প্রস্থান এক অপূরণীয় ক্ষতি। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
