ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় কার কী ক্ষয়ক্ষতি হলো ?
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় কার কী ক্ষয়ক্ষতি হলো ? এটাকে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই মনে করা হচ্ছে। এর ফলে আরও বিস্তৃত ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। হতাহত হলো কতজন ভারতের দাবি, পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি ‘সন্ত্রাসী ক্যাম্প’ এ ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৭০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। আরও ৬০ জন আহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, ভারতের আক্রমণের ফলে ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার বেশিরভাগই মসজিদ লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদন মতে, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুরে মসজিদে সুবহানাল্লাহতে ১৩ জন শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ৩ বছর বয়সি মেয়ে, সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ। এতে ৩৭ জন আহত হয়েছেন। যাদের ৯ জন নারী ও ২৮ জন পুরুষ। বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, মসজিদে সুবহানাল্লাহতে মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও ৪ ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানভিত্তিক জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মাওলানা মাসুদ আজহার সংগঠনটির প্রধান। জাতিসংঘের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় মাসুদ আজহারের নাম রয়েছে। মুজাফফরাবাদে মসজিদে বিলালে ৩ জন শহীদ হয়েছেন। এছাড়া এক কিশোরী ও এক কিশোর আহত হয়েছেন। কোটলির মসজিদ আব্বাসে একটি ১৬ বছর বয়সি মেয়ে ও একটি ১৮ বছর বয়সি ছেলে নিহত হয়েছে। পাশাপাশি এক মা ও তার শিশুসন্তান আহত হয়েছেন। মুরিদকের মসজিদে উম্মুল কুরায় হামলায় ৩ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শিয়ালকোটের হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। শাকরগড়ের হামলায় একটি ডিসপেনসারি/ফার্মেসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভারতের হামলায় পাকিস্তানের নীলম-ঝিলাম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নোসেরি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিপরীতে পাকিস্তানের হামলায় ভারতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক গোলাবর্ষণে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে দুই শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন। ভারতের পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের বিমান হামলার পর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দ্রুতই প্রতিরোধমূলক হামলা শুরু করে। দেশটির দাবি, তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি যুদ্ধ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং বেশ কয়েকটি চেকপোস্টসহ একাধিক ব্রিগেড সদর দফতর ধ্বংস করেছে। বুধবার (৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতীয় বিমানের সাথে সংঘর্ষে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সমস্ত যুদ্ধবিমান নিরাপদে রয়েছে। সেনাবাহিনীর শীর্ষ মুখপাত্র আরও জানান, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমানের মধ্যে তিনটিই ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল এবং রাশিয়ার তৈরি একটি এসইউ-৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, কমপক্ষে ৩টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে ‘বিধ্বস্ত’ হয়েছে। অন্য কথায়, ভারত স্বীকার করেছে যে, মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান তাদের কমপক্ষে ৩টি বিমান ভূপাতিত করেছে। বাকি দুটি এখনও নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, গত রাতে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাটি কেবল আত্মরক্ষার জন্য ছিল, প্রকৃত প্রতিশোধের অংশ ছিল না। পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বেশ কয়েকটি সেক্টরে ভারতের একাধিক পোস্ট ধ্বংস করেছে। রাত থেকেই সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময় চলছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাদের সাথে লড়াই করছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |