ঝিনাইগাতীতে কৃষকের স্বপ্ন এখন ইরি-বোরো ধানে। তাই মওসুমের শুরুতেই অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ইরি বোরো ধানের চারা রোপনে। অনেক বিলাঞ্চলে কৃষকরা ইরি-বোরো রোপন ও শুরু করেছেন পুরোদমে। ইতোমধ্যেই শতকরা ২৫-৩০ ভাগ জমিতে ইরি বোরা ধান রোপন করা হয়ে গেছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। তবে মৌওসূমের শুরুতেই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সার ডিলারা চড়া দামে সার বিক্রির পায়তারা করতে পারে বলে আশঙ্কাও করছেন কৃষকরা।
ঝিনাইগাতী উপজেলার বিলাঞ্চলের কৃষকরা এখন অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন ইরি বোরো চাষাবদে। তবে সার ও পানি সংঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা ও করছেন অনেক কৃষক। কৃষকরা বলেছেন বাজারে সব ধরণের সারের মূল্য বেশী তাই ইরি-বোরো চাষের উৎপাদন খরচ ও বৃদ্ধি পাবে। সার ডিলাররা বলছেন সারের দাম বৃদ্ধির কোন সম্ভবনা নেই।
ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই ৪ একর জমিতে ইরি বোরো ধান রোপন করেছেন। উত্তর দাড়িয়ার পাড় গ্রামের মো: খোরশেদ আলম রোপন করেছেন ৩ একর, মোক্তার আলী প্রায় ৩ একর, নয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান রোপন করেছেন ৫ একর, পূর্ব ধাশাইল গ্রামের আব্দুর রশিদ রোপন করেছেন ৬ একর ও উত্তর দাড়িয়ার পাড় গ্রামের কৃষক রবি মিয়া রোপন করেছেন ৩ একর জমি।
এসব কৃষক বলেছেন যে, মৌসুমের শুরুতেই চড়ামূল্যে সার কিনতে হচ্ছে। তাই এবার ধানের উৎপাদন খরচ ও বৃদ্ধি পাবে। ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারের সারের বড় ডিলার আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম প্রামানিকের সাথে কথা হলে তিনি রেইট মোতাবেক সার বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান। অন্যান্য ডিলাররাও জানান একই কথা।
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, সারের সরকারি যে খুচরা মূল্য তার চেয়ে বেশি দাম নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ইতোমধ্যেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চারা রোপন করা হয়ে গেছে।’
‘শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি ইরি- বোরো মৌসূমে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৪ হাজার ৬২৩ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সঠিকভাবে কৃষি বিভাগ তদারকী করে যাচ্ছে। ‘
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, কোন প্রাকৃতিক দুর্যোাগ না হলে চলতি ইরি বোরো মওসূমে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। তাছাড়া সারের কোন সঙ্কট ও হবে না। কৃষি বিভাগ থেকে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।প্রয়োজনে আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সারের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’