শাহবাগ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে
নতুন সময় ডেস্ক
|
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মীরা। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ আউটসোর্সিং কর্মী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। অবরোধের পর থেকে ঢাবি এলাকা, মৎস্যভবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, বাংলামোটর থেকে শাহবাগমুখী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের ফলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। এখনও অবরোধ চলছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা। শনিবার ১৯ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্তও অবরোধ চলছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে যাতায়াতকারী মানুষ। অবরোধে বসে তারা ‘স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ছাত্র জনতার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দাসপ্রথা বিলুপ্ত চাই’- ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল এবং আউটসোর্সিং, দৈনিক ভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের বহাল রেখে বয়স শিথিল করে চাকরি স্থায়ীকরণ চান। আন্দোলনের আয়োজক আব্দুর রাকিব সনেট বলেন, জনগণের সেবা প্রদানের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এটি আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮-এর ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা একটি কালো আইন। তিনি আরও বলেন, এই কালো আইনের দ্বারা সরকার এবং কর্মরতদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডারব্যবসার মাধ্যমে মূল্যবান অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। জনবল সরবরাহের নামে তারা কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই সরকারি অর্থ অপচয় না করে আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল এবং এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করে রাজস্বভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। আরেক সংগঠক দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাজস্বকরণ করলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে না। প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা ঠিকাদারকে দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ হলেই সরকারের সঞ্চয় হবে, যার আসল ও লভ্যাংশ থেকে রাজস্বকৃতদের অতিরিক্ত যাবতীয় ব্যয় বহন করা সম্ভব। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |