ঠাকুরগাঁয়ে বিরুপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর গগন বিদারী স্লোগানে স্লোগানে আর করতালির উত্তাল আওয়াজে মুখরিত গোটা ঠাকুরগাঁও শহর । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণে গোটা শহর যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আজ শনিবার (৩ আগষ্ট) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রচুর ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি দেখে কোন ধরনের বাধা দেননি বা ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেননি।
বেলা বারোটার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল সহকারে ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগুতে থাকে এ সময় তারা স্লোগানের স্লোগানে চারিদিকে মুখরিত রাখে। বৈষম্য ছাত্র বিরোধী আন্দোলনের সবাই একদাবি এবং একদফা শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন। পরে তারা পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের গোল চক্করে রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ শুরু করেন। গোল চক্করে ঘন্টা খানেক অবস্থানের পর উক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ঠাকুরগাঁয়ের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তার দিকে মিছিল সহকারে এগুতে থাকে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন ধরনের বাধা দেননি। পরবর্তীতে তারা চৌরাস্তায় অবস্থান করে সেখানে গোটা এলাকা স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল করে রাখেন। এর পূর্বে চৌরাস্তায় সিপিবির একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবির নেতারা ছাত্রদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সমাবেশে বহুসংখ্যক নারী শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সমাবেশে শিক্ষক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় রাস্তার দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে অভিভাবক, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সহ সর্বস্তরের জনতা অংশ গ্রহণ করে । অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সাথে এসেছেন। অনেকে সন্তানদের আন্দোলনে কাজ করার জন্য উৎসাহও দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের মুহুর্মুহু করতালি আর স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চৌরাস্তা চত্বর। পরবর্তীত শিক্ষার্থীরা চৌরাস্তার অবস্থানের পর পুনরায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেয়। সেখানে চলমান ঘটনাবলীর উপর বিভিন্ন ধরনের ধরনের নাটক, কৌতুক, আবৃতি পরিবেশন করা হয়।
পরিশেষে শিক্ষার্থীদেরকে আগামীকালের অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে আজকের বিক্ষোভ অনুষ্ঠান পরিসমাপ্তি করা হয়।