ভারতীয় দাবি করা সেই তরুণীর পরিচয় মিলেছে
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ভারতীয় দাবি করা সেই তরুণীর পরিচয় মিলেছে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিলেও তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তার বাবার নাম আলমগীর হোসেন হাওলাদার। তরুণীর বাড়ি বরগুনা জেলায়। তার পরিবার বাস করেন ঢাকায়। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবিসহ প্রমাণ নিয়ে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় আদালতে আসেন তার বাবা আলমগীর হোসেন হাওলাদার। তার দাবি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রোগে ভুগছেন তার মেয়ে। মেয়েকে নিজ জিম্মায় জামিন দেওয়ার আবেদন করেন আলমগীর। পরে কাগজপত্র ও প্রমাণাদি বিচার বিশ্লেষণ করে রুনাকে ১০ হাজার টাকা বন্ডে আইনজীবী ও তার বাবার জিম্মায় জামিন দেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তিসহ আসামি হাজিরের জন্য দিন ধার্য করেন। বাবা আলমগীর হোসেন হাওলাদার জানান, তাদের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার গাওয়াইর এলাকায়। ভালোবেসে লালমনিরহাট এলাকার এক তরুণকে বিয়ে করেন ২০১৬ সালে। বিয়ের পর ৫ বছর পরে ২০২১ সালে তাদের সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান। নাম রাখা হয় সিনথিয়া স্মৃতি। ওই সন্তান প্রসবের পরেই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তাকে মানসিক হাসপাতালেও রাখা হয়। চলে চিকিৎসা সেবা। তবে বারবার পালিয়ে যাওয়ায় পূর্ণ চিকিৎসা করাতে পারেনি। গত সোমবার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে কালো বোরখা পরে মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড়ে আসেন রুনা। খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তরুণীর বাবা বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আত্মীয় স্বজনরা সানজিদার খবর দেখে আমাকে অবগত করলে আমিও তা দেখে নিশ্চিত হই। পঞ্চগড়ে এসে সব ডকুমেন্ট জমা করে আমার মেয়েকে ঢাকায় বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।’ এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বামন পাড়া এলাকায় আটক হওয়ার পর হিন্দি ভাষার কথার পাশাপাশি নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দেন সানজিদা। তবে বৃহস্পতিবার আদালতে বাবার সঙ্গে বাংলা ও ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে মেয়েটির বিরুদ্ধে মামাল হয় তেঁতুলিয়া মডেল থানায়। বৃহস্পতিবার আদালতে বাংলাদেশি হিসেবে তার বাবা সব তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলে আদালত তাকে তার বাবার জিম্মায় জামিন দেন। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |