ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
সদস্য হোন |  আমাদের জানুন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
কুড়িগ্রামে মুচির মেয়ের বিয়ের গল্প
এ রাশিদ,দিনাজপুর
প্রকাশ: Tuesday, 21 November, 2023, 2:23 PM
সর্বশেষ আপডেট: Tuesday, 21 November, 2023, 2:25 PM

কুড়িগ্রামে মুচির মেয়ের বিয়ের গল্প

কুড়িগ্রামে মুচির মেয়ের বিয়ের গল্প

মুচি সম্প্রদায়কে আমরা নিচু চোখে দেখি৷ চামড়া দিয়ে জুতা মেরামত করেই চলে তাদের জীবিকা।
নিচের পায়ের জুতা তাদের হাটুতে রেখেই মুচতে দেয়।  এভাবেই চলে তাদের জীবিকা। আধুনিক যুগে এসে বিলুপ্ত প্রায় এই সম্প্রদায়েরই একজন কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর গ্রামের ভোলা রবি দাস।

পরিবার চালানো ও জীবিকা নির্বাহর জন্য ভোলা দাস  বেছে নিয়ে ছিলেন। অভাব অনটনে বড় করেছেন তার সন্তানদের কে । ভোলা দাসের মেয়ের বিয়ে নিয়েও অনেক চিন্তা।  আধুনিক সমাজে যে বিয়ে দিতে গেলে অনেক খরচ!  দিতে হয় যৌতুকও

ভোলা রবি দাস অনেক কষ্টে মেয়ের বিয়ে  ঠিক করে কিন্তু টাকার অভাবে বিয়ের আয়োজন করতে পারেনা। যে খরচটা না করলেই না সেটা করারও সামথ্য নাই ভোলা দাসের। থাকবেইবা কেমনে  তাদেরকে কাজ দেবে কে। আধুনিক সমাজ তাদের মুল্য দেয়না।

ভোলা দাস মেয়ের বিয়ের জন্য সামথ্যবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন সামান্য কিছু সাহায্য পাওয়ার আশায়।কেউ দিয়েছে ১০ টাকা কেউবা ২০টাকা  হতাশ হয়ে মনোকষ্ট নিয়ে ফিরে গেছেন ভোলা দাস।অসহায়, দিশেহারা বৃদ্ধ ভোলা রবিদাস টাকার ব্যাবস্থা করতে না পারায়  বিয়ের তারিখ  পিছিয়ে যাচ্ছিল বারবার। এমন কি সে বিয়ের অনিশ্চয়তাও দেখা দেয়,  অসহায় ভোলা দাস মাথায় হাত দিয়ে বসে ভাবে এসমাজ তাকে কিছুই দিলোনা! 

এমন নিদারুন খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ফেইসবুক পোষ্টের মাধ্যমে  কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে যায়।

রবি দাসের মেয়ের নাম অন্জনা।  হতাশার মেঘ কেটে রবিদাসের পাশে দাড়ায় সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিয়ের তারিখ নতুন করে হয়। কেনা হয় কসমেটিকস সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, চাল-ডাল, মসলা, মাংস, থালা-বাসন, লেপ-তোষক সহ বিভিন্ন  প্রয়োজনীয় সামগ্রী।  স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত খেটেখুটে অসহায় ভোলা রবিদাসে উপরে জমাট বাঁধা কালমেঘ সরাতে হয়। অঞ্জনা পড়ল রঙিন মেহেদী আর রঙিন শাঁড়ি। বসল বিয়ের পিড়িতে। সানাইয়ের সূর বাঁচতে লাগলো অন্জনার বিয়েতে।  বরপক্ষ কয়েকশত মানুষ এসে খেয়ে গেলো

এরকম হাজার হাজার অন্জনার পরিবার অনিশ্চিত!  আধুনিক সমাজ তাকে একপা এগিয়ে যেতে সাহায্য তো করবেইনা। ডাকলে খেতে আসবে ঠিকই। এই সমাজে অন্জনার বাবারা  কিভাবে দিবে মেয়ের বিয়ে। কারন এখন বিয়ে মানেই খুব খাওয়া!  বিয়ে মানেই  জামায়য়ের ঘর ভরিয়ে দেয়া.

এমন কুসংস্কার,  জঘন্যতম রীতি থেকে বের হয়ে আসলে নিশ্চিতে ঘুমাইতে পারবে হাজার হাজার অন্জনার বাবা। বিয়ে হোক শান্তির মশাল। বিয়ে হোক যৌতুকমুক্ত!

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, ১৭/ডি আজাদ সেন্টার, ৫৫ পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status