ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২ কার্তিক ১৪৩২
য‌শো‌রের বড় সোনা চালা‌নের রায়,৩ জ‌নের মৃতুদন্ড, ২ জ‌নের যাবজ্জীবন, এবং ৪ জ‌নের ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড
নতুন সময় প্রতিনিধি
প্রকাশ: Friday, 17 November, 2023, 11:35 PM

য‌শো‌রের বড় সোনা চালা‌নের রায়,৩ জ‌নের মৃতুদন্ড, ২ জ‌নের যাবজ্জীবন, এবং ৪ জ‌নের ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড

য‌শো‌রের বড় সোনা চালা‌নের রায়,৩ জ‌নের মৃতুদন্ড, ২ জ‌নের যাবজ্জীবন, এবং ৪ জ‌নের ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড

যশোরের বহুলালোচিত শার্শা সীমান্ত থে‌কে ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় রায় দি‌য়ে‌ছেন য‌শো‌রের এক‌টি আদালত।

এ রা‌য়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, দুই ভারতীয় নাগরিকের যাবজ্জীবন ও অপর ৪ আসামির ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ ন‌ভেম্বর)  দুপুর ২টায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো: তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় প্রদানকালে দন্ডিতদের মধ্যে ৬ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী মোঃ আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলো, যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেরে মুজিবুর রহমান। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো, ভারতীয় নাগরিক ভারতের গোকর্ন গ্রামের মাঝের পাড়ার আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মন্ডল।

এবং ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলো, শার্শার আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন ও ওরফে মেছের আলীর ছেলে এবং যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মন্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য হাবিলদার মুকুল হোসেন নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একদল চোরাকারবারী সোনা নিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরপর তারা নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেন। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্য দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি। এ সময় মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক ও দুইজন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪ পিচ সোনার বার ও ফেলে যাওয়া দুইটি ব্যাগ থেকে ৪০০ পিচ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪শ’ গ্রাম। 

পরদিন শিকারপুর বিওপির বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকায় ওই ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের এই যাবৎ সবচেয়ে বড় সোনা চালানের মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। এই রায়ে রাষ্টপক্ষ সন্তোষ্ট। 

এদিকে রায়ের খবরে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের  স্বজনরা অসন্তোষ প্রকাশ ক‌রে উচ্চ আদালতে যাবেন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম শান্তি বলেন, সরকার যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে, এতে বিচারকরা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করতে পারছে না। ফলে আসামীপক্ষ প্রকৃত রায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করবো।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status