স্ত্রীর সঙ্গে সুখের বিবাহিত জীবন, ৫২ বছর বয়সে ৩৫-এর এক মহিলার প্রেমে পড়ি, কাউকে ছাড়তে পারব না
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Wednesday, 4 January, 2023, 1:32 PM
Extramarital Affair: এই ব্যক্তির ৫২ বছর বয়স। ২০ বছরের বিবাহিত জীবন। এই সময়ে নতুন করে এক সহকর্মীর প্রেমে পড়েছেন। কী করবেন এখন তিনি? স্ত্রীকেও ভালোবাসেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ কী। Cheating Husband Signs: প্রেমের সম্পর্কে কি বয়স কখনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে? জানি না। সবার জীবনে প্রেম একইরকম ভাবে আসে না। কিন্তু যখন আসে, ঝোড়ো হাওয়ার মতোই আসে। সব কিছু ভুলিয়ে দিয়ে চলে যাই। আমরা বুঝতেও পারি না যে, ইতিমধ্য়েই আমরা কারও প্রেমে পড়েছি। কিন্তু তাই হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমিও প্রেমে পড়েছি। আমার বয়স ৫২ বছর। আমার সুখের সংসার আছে। আমার স্ত্রীকে আমি খুবই ভালোবাসি। কলেজের দিন থেকে আমাদের প্রেম। এখন আমার সন্তানরাও বড় হয়েছে।
এই সময়ে যদি আমি নতুন করে প্রেমে পড়ি, লোকে কী বলবে? আমার তো এসব ভেবেই মন খারাপ লাগে। জানি না কেন এরকম হল। আমি শুধু চাই যে, সব কিছু ঠিক হয়ে যাক। আজ বাধ্য হয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে সব কিছু লিখে পাঠাচ্ছি। আমায় অনুগ্রহ করে সাহায্য করুন। পরামর্শ দিন।
সহকর্মীর প্রেমে পড়েছি
আমার বয়স ৫২ বছর। ২০ বছরের বিবাহিত জীবন। আমার দুই সন্তান। ওরা কলেজে পড়ে। আমার স্ত্রীর সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক। আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসি। কলেজের দিন থেকে আমাদের সম্পর্ক। তখন থেকেই প্রেম। এরপর ৭ বছর আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা তার পরে বিয়ে করি। এখন আমার জীবনে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা আমার মাথা প্রায় খারাপ করে দিচ্ছে। আমি বড় দ্বন্দ্বে পড়েছি। কী করব কিছুতেই বুঝতে পারছি না।
আমার অফিসে ৩৫ বছরের একজন মহিলা কাজে যোগ দিয়েছেন। আমার টিমেই তিনি কাজ করেছেন। খুব ভালো কাজ করে ও। এত দ্রুত কাজ শিখে নিয়েছে যে, প্রশংসা করতে ইচ্ছে করে।
জানি না কেন এমন হল
ওর অফিসে যোগ দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। এরপর আমাদের মধ্য়ে ব্যক্তিগত স্তরে কথাও শুরু হয়। গত শীতে আমরা অফিসের ট্রিপে লন্ডনে যাই। সেই সময়ে আমরা একে অপরের কাছাকাছি আসি। একটা মুহূর্তের জন্যে দুর্বলও হয়ে পড়ি। আমি ওকে আমার মনের কথা জানাই।
ওকে জানাই যে, আমি ওকে ভালোবাসি। ও আমার কথা শুনে খুব খুশি হয়। আমরা সেই সময়ে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হই। সেই সময় থেকে আমাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক আছে। লকডাউনের সময়ে আমি আমার বাড়িতেই বেশিরভাগ সময়টা থাকি। পরিবারকে বেশি সময় দিই। বিশেষ করে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পারি। আমি বুঝতে পারি যে, আমি স্ত্রীকে ঠিক কতটা ভালোবাসি। একসঙ্গে কতটা সময় আমরা পার করেছি। কত কঠিন পরিস্থিতি একসঙ্গে পার করেছি আমরা।
তখন মনে হয়েছে যে, আমি কী করে এই সুন্দরীকে ঠকাতে পারলাম। আমাকে ওর থেকে ভালো আর কেউ বোঝে না। আমি এখন সত্যিই দ্বন্দ্বে পড়েছি। আমি কি একসঙ্গে দুজনকে ভালোবাসতে পারি? আমার রাতে ঘুম আসছে না। আমার ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনেও এটা প্রভাব ফেলছে। আমায় অনুগ্রহ করে সাহায্য করুন।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক কেদার তিলওয়ে। লকডাউনে একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছেন অনেকেই। প্রত্যেক পরিবারই অনেকটা বেশি সময় একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পেরেছে। এর জন্য অনেক দম্পতির মধ্য়েই সম্পর্ক আবার ঠিক হয়ে গিয়েছে। এভাবেই জীবন সুন্দর হয়ে উঠেছে।
স্ত্রীর কথা ভাবুন
শারীরিক ঘনিষ্ঠতা যে কোনও সম্পর্কের প্রাথমিক ‘রসায়ন’। এটায় কোনও গভীরতা নেই। তবে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে আরও অনেক বিষয় থাকে। মজবুত বন্ধন থাকে। সেই সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থাকে। নীতিবোধ থাকে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এইসব বিষয়ের প্রভাব পড়ে।
আপনার স্ত্রীর জায়গা থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টি একবার দেখার চেষ্টা করুন। তাঁর উপরে কী কী প্রভাব পড়তে পারে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।
সাহায্য নিন
যদি একা একা এই সমস্যা সমাধান না করতে পারেন, তাহলে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তাঁর কাছে সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলুন। তিনি সব কথা শুনে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। সব কথা বললে আপনিও কিছুটা শান্তি পাবেন। তিনি ধীরে ধীরে আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারবেন।
আপনিও সেই দিকে খেয়াল রাখুন। আপনার কথা শুনে বিশেষজ্ঞ আপনাকে বিচার করবেন না। আপনার মনের দিকেও তিনি খেয়াল রাখবেন। তাই আর দেরি না করে কোনও বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। ভালো থাকুন।