|
একটি টি-শার্টই দিল প্রেরণা! আদনান সামির অবিশ্বাস্য ওজন কমানোর গল্প যেমন ছিল
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() একটি টি-শার্টই দিল প্রেরণা! আদনান সামির অবিশ্বাস্য ওজন কমানোর গল্প যেমন ছিল এ প্রসঙ্গে কিংবদন্তি গায়ক ও সংগীতশিল্পী আদনান সামির অসাধারণ ওজন কমানোর যাত্রা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি ২৩৩ কেজি থেকে ১১০ কেজিতে নামতে সক্ষম হন বারিয়াট্রিক সার্জারি কিংবা লাইপোসাকশন কোনো কিছুই ছাড়াই। তিনি পুরোপুরি তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং কঠোর ব্যায়াম রুটিন অনুসরণ করেই এই সাফল্য অর্জন করেন। ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানের এক পর্বে আদনান সামি নিজের জীবনযাপনে আনা পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন, যেগুলোর মাধ্যমে তিনি ১২০ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হন। সেখানে তিনি বলেন, ‘অনেক জল্পনা ছিল, কেউ বলেছেন আমি বারিয়াট্রিক সার্জারি করেছি, কেউ বলেছেন লাইপোসাকশন আমার ক্ষেত্রে, আমার ওজন ছিল ২৩৩ কেজি। এত চর্বি সরাতে গেলে তো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার লাগত।’ ‘তেরা চেহরা’-খ্যাত এই গায়ক আরো বলেন, ‘লাইপোসাকশন তো একেবারেই হয়নি, বারিয়াট্রিক সার্জারিও নয়।’ তিনি জানান, তার পুষ্টিবিদের নির্দেশিত ‘রুটি নয়, ভাত নয়, চিনি নয়, তেল নয়, অ্যালকোহল নয়’—এমন খাদ্যাভ্যাসই তাকে প্রথম মাসেই ২০ কেজি ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রেরণার উৎস হিসেবে তিনি বলেন, ‘একদিন আমি শপিং মলে গিয়ে একটি এক্সএল সাইজের টি-শার্ট দেখলাম। তখন আমার সাইজ ছিল ৯এক্সএল, কিন্তু টি-শার্টটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। মা তখন বলেছিলেন, তোমার হাতও ওই টি-শার্টে ঢুকবে না।’ তিনি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘যখনই মনে হতো কিছুটা ওজন কমেছে, আমি সেই টি-শার্টটি পরে দেখতাম। রাতে দুই-তিনবারও চেষ্টা করতাম, ফিট হয় কি না দেখার জন্য। তারপর এক রাতে প্রায় ৩টার দিকে আমি টি-শার্টটি পরে দেখি এবার পুরোপুরি ফিট! বাবাকে ফোন করেছিলাম, আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলাম।’ ৫৪ বছর বয়সী এই শিল্পী শেষে বলেন, ‘এভাবেই আমি ওজন কমিয়েছি, অনেক পরিশ্রম করে। জীবনে কোনো শর্টকাট নেই।’
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
