|
অবৈধ মোবাইল ফোনের বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে, বৈধ শোরুমে বেড়েছে ভিড়
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() অবৈধ মোবাইল ফোনের বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে, বৈধ শোরুমে বেড়েছে ভিড় যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ফোন বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ক্রেতারা এখন দোকানে এসে আগেই জিজ্ঞেস করেন—ফোনটি বিটিআরসি নিবন্ধিত কি না। আমরা আনঅফিসিয়াল ফোনের স্টক ক্লিয়ার করতে ডিসকাউন্ট দিচ্ছি, তবুও মানুষ ভয়ে কিনতে চাইছে না। যেসব ফোন আগে থেকে স্টকে আছে, সেগুলো ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিক্রি না করতে পারি তাতে অনেক টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। সরকার সূত্রে জানা গেছে, অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী এনইআইআর ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এই ব্যবস্থার আওতায় দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা অনুমোদনবিহীনভাবে আমদানি করা ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে। সরকারের আশা, এতে মোবাইল খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং ভোক্তাদের বৈধ ও নিরাপদ ফোন ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, বৈধ ও দেশীয় উৎপাদিত ফোনের বিক্রি বেড়েছে। স্যামসাং, শাওমি, ভিভো ও অপো’র শোরুম কর্মিরা জানান, ক্রেতারা এখন অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি ও নিবন্ধন নিশ্চিত হওয়ার পরেই ফোন কিনছেন। ফলে বৈধ শোরুমগুলোর বিক্রি বৃদ্ধি পেয়ে বাজারের ভারসাম্য ফিরছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনইআইআর ব্যবস্থার ফলে অবৈধ ফোনের বাজার ক্রমেই সংকুচিত হবে। এতে দীর্ঘমেয়াদে বৈধ ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এছাড়া ভোক্তারা নিরাপদ ও অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি সম্বলিত ফোন ব্যবহার করতে পারবে, যা প্রতারণা ও নিরাপত্তা হুমকি কমাবে। বাজারে এই পরিবর্তন ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেসব দোকানে আগে ক্রেতাদের ভিড় ছিল, সেখানে এখন নিরবতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে আনঅফিসিয়াল ফোনের দোকানগুলোতে ক্রেতারা আগেভাগে সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করছেন। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছেন স্টক কমানোর জন্য ডিসকাউন্ট দেওয়ার, কিন্তু সেক্ষেত্রেও মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। নিয়ন্ত্রিত ও বৈধ বিক্রির এই প্রবণতা মোবাইল খাতকে আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করে তুলবে, যা ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের জন্যই ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
