|
‘দুর্নীতির’ অনুসন্ধান: ইবিএল চেয়ারম্যান শওকতের নথিপত্র চেয়ে দুদকের চিঠি
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ‘দুর্নীতির’ অনুসন্ধান: ইবিএল চেয়ারম্যান শওকতের নথিপত্র চেয়ে দুদকের চিঠি এ অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্যাংকটির কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে গত রোববার ১৬ নভেম্বর চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার ১৯ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ অনুসন্ধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কর্মকর্তা এ পর্যায়ে যে পদক্ষেপগুলো প্রয়োজন, সেগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করবেন। অনুসন্ধান পর্যায়ে সাধারণত বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ-এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ধাপে ধাপে এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই তারা নেবেন। এসবই অনুসন্ধান কর্মকর্তার এখতিয়ার এবং তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) চেয়ারম্যান শওকতের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের দল গঠন করে দুদক। ইবিএলে পাঠানো চিঠিতে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- শওকত আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কিংবা তাদের মালিকানাধীন বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্টার্ন ব্যাংকে কোনো হিসাব বা স্কিম খোলা হয়ে থাকলে সেগুলোর অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম (সংশ্লিষ্ট রেকর্ডসহ), হিসাব খোলার পর থেকে অদ্যাবধি সব লেনদেনের বিবরণী, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন ও পাসপোর্টের কপি। এছাড়া শওকত ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যক্তিগত নামে বা তাদের মালিকানাধীন বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ঋণ নিয়ে থাকলে সেই ঋণের আবেদন, শাখার প্রস্তাব, অনুমোদন সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র এবং ঋণ হিসাবের বিবরণীও চেয়েছে দুদক। সাত কর্মদিবসের মধ্যে এসব নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর শওকত আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দুদকে জমা পড়ে। এর আড়াই মাস আগে গত ৩০ জুন শওকত আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শওকত আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
