ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
দেশে কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর করার নজির নেই
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Tuesday, 18 November, 2025, 12:11 PM
সর্বশেষ আপডেট: Tuesday, 18 November, 2025, 12:58 PM

দেশে কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর করার নজির নেই

দেশে কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর করার নজির নেই

অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। গতকাল সোমবার পর্যন্ত দেশের সব কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা দুই হাজার ৫৯৪। তাদের মধ্যে নারী ৯৪ জন। বাকিরা পুরুষ। তবে স্বাধীনতার পর দেশের ৫৪ বছরের কারা ইতিহাসে এখনও কোনো নারীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়নি। কারা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সোমবার রাতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, অনেকে মনে করেন ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়। আমরা মৃত্যুদণ্ডাদেশ বন্দিদের সেলে রাখি। কোনো সেলে একজন থাকেন, আবার কোনো সেলে একাধিক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি থাকেন। তবে দেশে এখনও কোনো নারী আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়নি।

কারা সূত্র বলছে, গতকাল পর্যন্ত কারাগারে সব মিলিয়ে বন্দির সংখ্যা ৮২ হাজার। বর্তমানে ১৪টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৬০টি জেলা কারাগার রয়েছে। ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭ জন। এই হিসাবে ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দি আছে।

পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীকে খুনাখুনির মতো অপরাধে জড়াতে দেখা যায়। তাহলে কেন এখন পর্যন্ত কোনো নারীর ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়নি– এমন প্রশ্নে সাবেক ডিআইজি (প্রিজন্স) মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সমাজের অনেকের প্রচলিত ধারণা, নারীদের ফাঁসি দেওয়া হয় না। আসলে বিষয়টি তা নয়। আইনের কোথাও বলা নেই, নারীদের ফাঁসি দেওয়া যাবে না। 

ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে হলে বেশ কয়েকটি আইনি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের বিষয় আসে। তবে এখনও সবকটি আইনি ধাপ সম্পন্ন করে কোনো নারীর ফাঁসির দণ্ড দেশে কার্যকর হওয়ার নজির নেই। তাই অনেক নারী ফাঁসির দণ্ড নিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে থাকলেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। 

শামসুল হায়দার সিদ্দিকী আরও বলেন, এক সময় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দিদের সেলের বাইরে বের হতে দেওয়া হতো না। কারারক্ষীদের প্রহরায় স্বজনরা তাদের সেলে গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপরই সাক্ষাৎ করতেন। একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচজন স্বজন যেতে পারতেন। পরে এই নিয়ম বদলানো হয়। অন্য বন্দিদের স্বজনদের মতো ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির আত্মীয়স্বজন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, কারাগারের নিয়ম-প্রথা নিয়ে বাইরের মানুষের মধ্যে নানা মিথ রয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, দেশে রমজানে কারও ফাঁসি কার্যকর হয় না। আইনে এমন কিছু বলা নেই। তবে সাধারণ মুসলিম দেশ হিসেবে রমজানে কারও ফাঁসি কার্যকর করা হয় না।

কারাগারের আরেক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কারাগারে ৯৪ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নারী কয়েদির মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। সেখানে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৪ জন নারী কয়েদি আছেন।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status